করোনার বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষে সারা দেশে চালু করা হতে পারে গণপরিবহন । জনস্বার্থে গণপরিবহন চালু হলেও অবশ্যই মানতে হবে করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি। এদিকে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখার কারণে বর্ধিত নির্ধারিত ভাড়ার বেশি ভাড়া আদায় করলে শাস্তির আওতায় আনা হবে সংশ্লিষ্টদের।
গণপরিবহন চালুর ইঙ্গিত ও বাড়তি ভাড়া আদায়ে শাস্তির কথা বলেছেন খোদ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার (২৪ এপ্রিল) বিআরটিসি ও বিআরটিএ'র বরিশাল সড়ক জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, চলমান ‘লকডাউনের’ পরে সরকার গণপরিবহন চালুর সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে। তবে লকডাউন শিথিল হলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানাই। তিনি বলেন, গণপরিবহন চালুর পর অর্ধেক আসন খালি রেখে যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেই ভাড়ার অতিরিক্ত নিলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, ১৪ এপ্রিল থেকে সাতদিন মেয়াদে এ বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরবর্তীতে আরও সাতদিন বাড়ানোয় এর মেয়াদ দাঁড়ায় ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। মেয়াদকালে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া, গণপরিবহনসহ সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে পন্যবাহী যানবাহন, জরুরি সেবা ও কাঁচাবাজার এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়। যদিও প্রথম ধাপের বিধিনিষেধের মেয়াদকালে সব সিটি করপোরেশন এলাকায় করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষ গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। আর বর্ধিত মেয়াদ পার হওয়ার আগেই ২৫ এপ্রিল থেকে দোকানপাট-শপিংমল শর্তসাপেক্ষ খোলার অনুমতি দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জারি করা এ বিধিনিষেধ প্রতিপালনে সব মিলে ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়।
এমকে