মহিদুল খান
অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে গোটা দেশে। বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর বিরোধী আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও তাণ্ডব চালানো, এ ঘটনায় ১৭ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি- তাদের অরাজনৈতিকতার পোশাকে কালো দাগ লাগিয়ে দিয়েছে। দাবি ওঠেছে হেফাজতকে বয়কট ও নিষিদ্ধ করার।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইদানিং অরাজনৈতিকতাকে দৃশ্যত ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন এ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। তাদের তাণ্ডব ইসলাম শরিয়তের পরিপন্থি। ইসলাম ধর্ম কখনোই জ্বালাও-পোড়াও আর রাষ্ট্রের সম্পদ বিনষ্টকে সমর্থন করে না। অথচ মোদির ঢাকার সফর ইস্যুতে তারা সরকারি সম্পদ বিনষ্টে যেন মেতে ওঠেন। তাদের হামলায় আহত হয় দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মাঠে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।
হেফাজতের শীর্ষদের নেতাদের একজন মামুনুল হককে গ্রেফতারের পর তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। হেফাজতের এ নেতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছেন, সরকার পতন ঘটিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তাদের। অরাজনৈতিক সংগঠন কখনোই রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখে না। রাজনৈতিক বোদ্ধাদের অনেকেই মনে করছেন- বিএনপি ও যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন জামায়েতে ইসলামি বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক থাকতে পারে। এ বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর খতিয়ে দেখা উচিত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি- সরকার দেশে ইসলাম বিরোধী এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি যে- তাদেরকে মাঠে নামতে হবে, জনমনে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। বরং স্বাধীনতার দিবসে তারা আনন্দ-উল্লাসের পরিবর্তে সংহিসতায় জড়িয়েছে, পাকিস্তানি হানাদের মতো জ্বালাও পোড়াওয়ে লিপ্ত হয়েছে। বস্তুত বিশ্বে স্বাধীনতার ৫০ বছরের উদযাপনকে বিতর্কিত করার হীন অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। দেশপ্রেমিক কোনো মানুষ বা দল স্বাধীনতা দিবসে এমন হাঙ্গামা করতে পারে না।
এদিকে হেফাজতে ইসলামের বর্তমান কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর এ সংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে আলেমদের অন্যতম একটি সংগঠন আহলে সুন্নত। সংগঠনটির এক নেতা গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন-সরকারের উচিত হবে- জঙ্গি সংগঠন হিসেবে হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করা।
এমকে