বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে দেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে এ মহামারি পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেও আসবে খুব শিগগিরই। চলতি অর্থবছরেই দুই হাজার ৭৮৫ মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে জাতীয় মাথাপিছু আয়। একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনের বুধবারের (২৬ জানুয়ারির) বৈঠকে সংসদকে এ আশা জাগানিয়া কথা শোনালেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ‘বাজেট ২০২১-২২: প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন’ সংসদে উপস্থাপনকালে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। প্রতিবেদনটিতেও বিষয়টি উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
অর্থমন্ত্রী জানান, সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে ব্যাহত হওয়া প্রবৃদ্ধি দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায়। স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে টাকা-ডলার বিনিময় হার। ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নেও। তিনি জানান, করোনা দ্বিতীয় ঢেউ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবাস আয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে শ্রমিকদের বিদেশ যাত্রা পুনরায় শুরু হওয়ায় এ আয় আগের অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রীর হিসাবে, আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় গত সেপেটম্বর শেষে বেসরকারিখাতে ঋণ সরবরাহ বেড়েছে ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছর শেষে লক্ষমাত্রা অনুযায়ী বেসরকারিখাতে ঋণ বিতরণে প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৮ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টিও তুলে ধরেন। জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশেও জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এতে মূল্যস্ফীতির সম্ভাবনা থাকলেও বছর শেষে তা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করা যায়।
এমকে