দেশে গ্যাস অক্সিজেনের অভাব নেই, এর প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি অনেক। দেশীয় লিকুইড অক্সিজেন প্রয়োজন মতো হাসপাতালে দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ টনের মতো লিকুইড অক্সিজেন রিজার্ভ আছে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সারা বছর ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি করি না। করোনার সময় যখন সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী ছিল, তখন প্রতিদিন আমরা আমদানি করেছি। আমরা আমদানি করতাম ৪০-৫০ টন। কিন্তু গত চার পাঁচ দিন কোনও অক্সিজেন আসছে না, আমরা তো চলছি। তিনি বলেন, আমরা তো শুধু লিকুইড অক্সিজেন দিয়ে কাজ করি না। সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন তো নতুন হলো, এর আগেও হাসপাতালে অক্সিজেন ছিল। সেগুলোর কিছু লিকুইড অক্সিজেন, আর বেশিরভাগই ছিল গ্যাস অক্সিজেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, গ্যাস অক্সিজেন ব্যবহারের সুযোগ থাকা হাসপাতালগুলোতে গ্যাসে কনভার্ট করতে বলা হয়েছে। এখন গ্যাস দিয়ে চলতে বলা হয়েছে, তাতে লিকুইড গ্যাসের প্রয়োজন পড়বে না। তিনি জানান, বর্তমানে যে পরিমাণ রোগী আছে, হিসাব করে দেখেছি- এ মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। রোগী যদি ৭ হাজারের জায়গায় ২১ হাজার হয়, তাহলে কিন্তু সংকট হবে। শুধু এ দেশ না, যেকোনো দেশেই সংকট হবে।
এমকে