স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ৬ দফার কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ কার্যপরিধি বাস্তবায়নে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) এ কমিটির গেজেট প্রকাশ হয়েছে। কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে।
কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে— উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণপরবর্তী সময়ে দেশের কোন কোন খাতে কী পরিমাণ প্রভাব পড়তে পারে তা নির্ধারণ, নির্ধারণকৃত প্রতিটি খাতের জন্য মূল দায়িত্ব পালনকারী এবং সহযোগি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও সংস্থাগুলোর ম্যাপিং ও দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ, মুক্ত/অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শুল্কনীতি প্রণয়নে পরামর্শ প্রদান।
কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন— মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক), তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব), পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, শিল্প সচিব, কৃষি সচিব, পরিবেশ সচিব, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ডিসিসিআই ও বিএপিআইয়ের (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ) সভাপতি। কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (নির্বাহী সেল ও পিইপিজেড)।
এ কমিটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দফতর ও সংস্থার নির্দিষ্ট সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দফতর, সংস্থার নেওয়া কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়মিত মনিটরিং ও পরামর্শ দেবে। প্রতি তিন মাসে কমপক্ষে একবার সভার আয়োজন করে অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে। প্রয়োজনে অন্য কোনও মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দফতর/সংস্থার প্রতিনিধি বা ব্যক্তিকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
এমকে