পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
নিজে চাকরি করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী পদে। আর এ পদেই চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশ কয়েকজন চাকরি প্রত্যাশীর কাছ থেকে সব মিলে কয়েক লাখ টাকা নিয়েছেন তিনি । কিন্তু দীর্ঘদিনেরও চাকরি না হওয়ায় তাকে দেওয়া নিজেদের টাকা তার কাছে ফেরত চাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। সেই টাকা ফেরত দিতে তালবাহানা করায় ফাঁস হয়েছে টাকা নেওয়ার গোমর। এনিয়ে এলাকায় চলছে তোলপাড়। ঘটনাটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার। অভিযুক্তর নাম পরেশ চন্দ্র রায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার গলেহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী পদে কর্মরত আছেন তিনি। তিনজনের কাছে থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি এ প্রতিনিধির কাছে স্বীকারও করেছেন পরশ চন্দ্র রায়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ- পরেশ চন্দ্র রায় যাদের কাছে থেকে টাকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে একজনকে জাল নিয়োগপত্রও দিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার আত্মীয়, তিনি চাকরি দিতে পারবেন- এমন নিশ্চয়তা দিয়েই টাকাগুলো নিয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগীদের একজন বোয়ালমারী এলাকার টলেন বলেন, তার শ্যালক চাকরির জন্য পরেশ চন্দ্রকে দুই দফায় ৭ লাখ ৫৫ হাজার দিয়েছেন। বিনিময়ে প্রহরী কাম দপ্তরি পদে স্থায়ী প্রকল্পে ৭৮নং কাজলদীঘি কালিয়াগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের নিয়োগপত্র। গৌরাঙ্গ সেখান যোগদান করতে যান। এ সময় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার নিয়োগপত্র গ্রহণ করেননি। প্রধান শিক্ষক তার শ্যালককে জানিয়েছেন, এ পদে নিয়োগের বিষয়টি তার জানা নেই।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এ পদে চাকরি দিতে কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের পলাশ চন্দ্র ও ধনেশ চন্দ্র রায়ের কাছে থেকে এক লাখ করে টাকা নেন পরশ চন্দ্র রায়। এদিকে শহিদুল তার ছেলে নুরজামালের জন্য ও খতিবর রহমান তার ছেলে নয়নের জন্য সাত লাখ ৫০ হাজার টাকা করে দেন তাকে। কিন্তু এদের একজনেরও চাকরি হয়নি।
অভিযুক্ত পরেশ চন্দ্র রায় বলেন, আমি টাকা নিয়ে আনিসুর রহমান নামের এক সহকারি শিক্ষককে দিয়েছি। ওই শিক্ষক ঠাকুরগাঁও উপজেলার কোনও এক উচ্চ বিদ্যালয়ের। আমি সবার টাকা ফেরত দিয়ে দেব। এ নিয়ে কথা না বাড়ানোর অনুরোধ করেন পরেশ চন্দ্র। পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোসলিম উদ্দিন শাহ বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। যদি ভুক্তভুগীরা অভিযোগ নিয়ে আসে, তবে অবশ্যই তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
মো.সম্রাট হোসাইন/এমকে