তৃতীয় কোনও পক্ষ ছাড়াই রাশিয়া এবং চীনের তৈরি করোনার টিকা আনবে
সরকার।জিটুজি পদ্ধতিতে (সরকারের সঙ্গে সরকারের চুক্তি) এ টিকা আনা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের
মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।রাশিয়ার তৈরি টিকার নাম স্পুটনিক
ভি এবং চীনের তৈরি টিকা হচ্ছে সিনোফার্ম।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, দেশে জরুরি ভিত্তিতে স্পুটনিক ভি
এবং সিনোফার্ম ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। টিকা সংক্রান্ত
যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেয়া হয়। তিনি জানান,
সিনোফার্ম জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ টিকা বাংলাদেশে
উৎপাদনের সুযোগ থাকবে, ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে এখানে এটা উৎপাদন হবে।
কাঁচামালও সরকারি প্রতিষ্ঠান আনবে। দেশে তিনটি প্রতিষ্ঠানের টিকা উৎপাদনের
ক্ষমতা আছে- ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যাল, পপুলার এবং হেলথ কেয়ার।
টিকার প্রয়োগ প্রসঙ্গে মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, সাত দিনের জন্য
এক হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করে দেখা হবে। এছাড়া এটার সেফটি এবং
কার্যকারিতা কেমন তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। কত সংখ্যক ডোজ, এর দাম কত
হবে— সবকিছু নির্ধারণ করবে সরকারের এ সংক্রান্ত কমিটি।
তিনি জানান, বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ টিকা দেবে চীন। দুই সপ্তাহের
মধ্যে এটা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। তারপর প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জিটুজি’র
মাধ্যমে এটার কাজ সম্পন্ন হবে।
এমকে