তাসকিন আহমেদের বোলিং দাপটের পরও ২য় দিন শেষে ভালো অবস্থানে রয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। ১৫৫.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৬৯ রান করেছে স্বাগতিকরা। এদিন বাংলাদেশের সফল বোলার তাসকিন। ৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২য় টেস্টের প্রথম দিনে ৯০ ওভারে ১ উইকেটে ২৯১ রান করেছিলো শ্রীলঙ্কা। লাহিরু থিরিমান্নে ১৩১ ও ওশাদা ফার্নান্দো ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
২য় দিন খেলতে নেমে থিরিমান্নেকে বেশি দূর যেতে দেননি তাসকিন । তাকে ১৪০ রানে থামিয়ে দেন তাসকিন। ১৫টি চারে ২৯৮ বলে এ রান করেন তিনি।
১০৫তম ওভারে থিরিমান্নের আরো একটি উইকেট শিকারে আনন্দ করতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের ভুলে সেটি আর সম্ভব হয়নি। ঐ ওভারের চতুর্থ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। কিন্তু বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডাররা কোএনা আবেদনই করেননি। তবে টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে, বল স্পর্শ করেছিলো ম্যাথুজের ব্যাটকে।
শুন্য রানে জীবন পেলেও, ম্যাথুজকে ঠিকই দ্রুত শিকার করে নেন তাসকিন। ১০৯তম ওভারের প্রথম বলে ৫ রান করা ম্যাথুজকে বিদায় দেন তাসকিন।
৬ রানের ব্যবধানে থিরিমান্নে-ম্যাথুজের বিদায়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দেন বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম। প্রথম টেস্টে ১৬৬ রান করা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ২ রানে আটকে দেন তাইজুল। এতে ৩২৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তাই সর্তকতার সাথে খেলতে থাকে লঙ্কানরা। এ সেশনে ২৬ ওভারে ৪৩ রানের খরচে শ্রীলঙ্কার ৩ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের বোলাররা। ৪ উইকেটে ৩৩৪ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে গিয়েছিলো শ্রীলঙ্কা।
বিরতি থেকে ফিরে দলের স্কোর বড় করার পথে ছিলেন সেট ব্যাটসম্যান ওশাদা। সেঞ্চুরির পথে হাটচ্ছিলেন তিনি। তাকে ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা। তবে পরপর দু’ওভারে শ্রীলঙ্কা শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন ও স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ।
১৩৬তম ওভারের চতুর্থ বলে নিশাঙ্কাকে বোল্ড করেন তাসকিন। ৩০ রান করেন নিশাঙ্কা। আর ১৩৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওশাদাকে থামান তাসকিন। ২২১ বলে ৮টি চারে ৮১ রান করেন ওশাদা।
৩৮২ রানেই পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট পতনে বড় স্কোর গড়া নিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু লঙ্কানদের চাপমুক্ত করেন উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকবেলা ও রমেশ মেন্ডিজ। সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১১৭ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন তারা।
১৫৬তম ওভারে বৃষ্টি নামলে, দিনের বাকী ২৪ ওভার আগেই শেষ হয় খেলা। দিন শেষে ডিকবেলা ৬৪ ও রমেশ ২২ রানে অপরাজিত থাকেন। অবশ্য ১৫২তম ওভারের শেষ বলে তাসকিনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান রমেশ। তখন ১২ রান ছিলো তার নামের পাশে।
বাংলাদেশের তাসকিন ১১৯ রানে ৩টি, শরিফুল, তাইজুল ও মিরাজ ১টি করে উইকেট নেন।
ক্সোর কার্ড:
টস : শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কা:
প্রথম ইনিংস আগের দিন (২৯১/১, ৯০ ওভার, থিরিমান্নে ১৩১*, ওশাদা ৪০*) :
দিমুথ করুনারত্নে ১১৮, লাহিরু থিরিমান্নে ১৪০, ওশাদা ফার্নান্দো কট ৮১, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ৫, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ২, পাথুম নিশাঙ্কা ৩০, নিরোশান ডিকবেলা অপরাজিত ৬৪ ও রমেশ মেন্ডিস অপরাজিত ২২।
অতিরিক্ত (বা-৩, লে বা-২, নো-১, ও-১) ৭
মোট : (১৫৫.৫ ওভার, ৬ উইকেট) ৪৬৯