বেড়েই চলছে সহিংসতা

০২ মে ২০২১

করোনা মহামারির মধ্যেও দেশে ধর্ষণ, হত্যা ও পারিবারিক নির্যাতনসহ নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার ঘটনার বেড়েই চলেছে। ধারাবাহিকভাবে ঘটেই চলেছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতন, কারা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা। এ কথা বলছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ)।শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো তাদের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এমএসএফ এও মনে করছে দেশে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা ও গ্রেপ্তার, সীমান্তে হত্যা-নির্যাতন, সংখ্যালঘু নির্যাতন, সর্বোপরি নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হওয়ার ঘটনাও উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

তারা জানিয়েছে, গত এপ্রিল মাসে দেশে ৩৭১টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ১৩৭টি, দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩১টি। আর ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে ১৫টি। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৯ জন।

এমএসএফ জানায়, তারা নিজেরা ও বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছে। সংগঠনটি বলছে, ধর্ষণের শিকার ১৩৭ জনের মধ্যে ৭৬ জন শিশু ও কিশোরী। এ সময়ে যৌন হয়রানি ২২টি ও শারীরিক নির্যাতনের ২৯টি ঘটনা ঘটেছে। অ্যাসিড নিক্ষেপে আক্রান্ত হয়েছেন ২ নারী, ৩২ জন কিশোরীসহ মোট ৬৯ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন। অপহরণের শিকার হয়েছে তিন শিশু, চার কিশোরী ও দুই নারী।আর নিখোঁজ রয়েছে ১১ শিশু। ৭৫ জন নারী ও শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সামাজিক বিরোধ ও ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনায় ৯টি পরিবারকে একঘরে করে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আট নবজাতককে বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মৃত ছিল ছয় জন। নবজাতক পাওয়ার ক্ষেত্রে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দত্তক দেয়ার মাধ্যমে এ সঙ্কট এর সমাধান করার চেষ্টা হয়।

এমএসএফ বলছে, পারিবারিক বিরোধ, প্রতিশোধ, যৌতুক, তালাক, জমিসংক্রান্ত বিরোধ প্রভৃতি কারণে হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর