অনুপ্রবেশের চেষ্টা বেড়েছে রোহিঙ্গাদের

০২ মে ২০২১

নতুন করে কক্সবাজারের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা বেড়েছে। এজন্য ২১ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বিজিবি।

সর্বশেষ বুধবার অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে সাত রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টেকনাফ ব্যাটালিয়ন। নাফ নদী দিয়ে নৌকায় করে আসা এসব রোহিঙ্গার  সবাই ছিল পুরুষ। এ বিষয়ে চেষ্টা করেও টেকনাফ বিজিবির (দুই নম্বর ব্যাটালিয়ন) কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিজিবি সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী (গণমাধ্যমে প্রকাশিত), জানুয়ারিতে ১৬ জন ও ফেব্রুয়ারিতে ১৩ জন মিয়ানমারের নাগরিক অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। মার্চে চেষ্টা  করে ৫৬ জন। এপ্রিল মাসেও প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করেছিল বলে সুত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ। সব মিলে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে ১৩৩ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। এর মধ্যে শুধু মার্চ-এপ্রিলেই ফেরত পাঠানো হয়েছে ১০৪ জনকে।এ সীমান্ত দিয়ে ৩১ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

বিজিবি পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা যেমন বেড়েছে, বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টাও বেড়েছে। তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই মিয়ানমার সীমান্তে টহল দ্বিগুণ করা হয়ে।

এদিকে দেশটির সামরিক অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ৩১ মার্চ জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ভাষ্য জানায়, সেখানকার ঘটনাপ্রবাহ মানুষকে দেশের অভ্যন্তরে ও সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করছে। তাই সুরক্ষার জন্য পালিয়ে আসা সবাইকে আশ্রয় ও নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এ অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি জরুরি আহবান জানায় ইউএনএইচসিআর।

বিজিবি পরিচালক (অপারেশন্স) কর্মকর্তা ফয়জুর গণমাধ্যমকে বলেন, তারা শুধু অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকাচ্ছেন। দুর্গম সীমান্ত এলাকা ও মিয়ানমারের পরিস্থিতির বিবেচনায় সবিস্তারে যাচাই-বাছাই করারও কোনো সময়-সুযোগ থাকে না তাদের।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর