রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি হয়নি। মঙ্গলবার (সোমবার দিনগত) রাত ২টার দিকে গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। এদিকে তার বিদেশ যাওয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট সোমবার দেখা দিলে তাকে একই হাসপাতলের সিসিইউতে নেয়া হয়।
অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার (খালেদা) অবস্থা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেয়া হয়েছে, প্রতিবেদন আসার পর চিকিৎসকেরা পর্যালোচনা করবেন। এর আগে বলার কিছু নেই।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। গত ১১ এপ্রিল তার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে নেয়ার দাবি ওঠেছে পারিবারিক ও দলীয়ভাবে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এপ্রিলে আবারও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (৩) মে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে কথা বলেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা (কারাদণ্ড) হয় খালেদা জিয়ার। এরপর গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশ যেতে পারবেন না এমন শর্তে তাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। পরবর্তীতে এ মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এমকে