গ্রামগঞ্জে বাসা-বাড়িসহ যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করতে হলে একটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে অবকাঠামো নির্মাণকারীদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ দর্শন অনুযায়ী গ্রামকে এখন থেকেই পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে এটা দরকার। এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। যথাযথ কর্তৃপক্ষ হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেয়ার কথা বলেছেন তিনি। বুধবার (৫ মে) ‘মেয়র সংলাপ: নিরাপদ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর’ বিষয়ক ভার্চুয়াল সভায় এ বিষয়ে কথা বলেন। সেভ দ্য চিলড্রেন ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এ সভার আয়োজন করে।

যে কোনো অবকাঠামো বলতে দোকানপাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লাব কিংবা অফিস-আদালতের কথা স্পষ্ট করেছেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এটাও বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আসতেই পারে। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মাণ ঠেকানো যাবে না।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরো  বলেন, ইউনিয়ন পরিষদকে এ বিষয়ে ক্ষমতায়ন করার পর তারা যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য উপজেলা পরিষদকে সংযুক্ত করা হবে। কেউ যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোনো অবস্থায় অনুমতি ব্যতীত কৃষি জমিতে বাড়িঘর বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান-স্থাপনা নির্মাণ করতে দেয়া যাবে না।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মোহাম্মদ খানের সঞ্চালনায় সভায় ঢাকা উত্তর সিটি, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়ররা অংশ নেন।

এমকে