নিত্যপণ্যের বাজারে আবারও খুচরায় বেড়েছে চাল, ডাল, আটা-ময়দার দাম। ২-৩ দিনের ব্যবধানে বৃদ্ধির এ অঙ্কটা ২ থেকে শুরু করে ১০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। তাছাড়া শীতকালীন সবজির বেশিরভাগই এখনও ৩০ টাকার নিচে মিলছে না। ডিম, মাছ, পেঁয়াজ ও আলুর দামও আগের মতোই চড়া। ফলে দৈনিকের আহারের যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের পেশাজীবিদের।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারের প্রাপ্ত তথ্য বলছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার ৫৬ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার ৫৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে মাঝারি চালের কেজি। মোটা দানার মসুর ডালে কেজিতে বেড়েছে ৩-৪ টাকা। ছোট দানার (নেপালি) ক্ষেত্রে এ অঙ্কটা ৫-৬ টাকা। প্যাকেট আটা ও ময়দার দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকার মতো। ক’দিনে আগের ৫০ টাকার ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজি দরে, ৪২ টাকার এক কেজি প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৩ টাকায়।
খুচরা ব্যবসায়ীদের তথ্যানুযায়ী, দুই দিন আগে বাজারে নতুন আসা সয়াবিন তেলের দাম এক লিটারের বোতলের ১৬৫-১৬৮ টাকা আর পাঁচ লিটারের বোতলের ৭৮৫-৮০০ টাকা নির্ধারণ আছে। আগের বোতলে দাম ছিল এক লিটারের ১৬০ টাকা আর পাঁচ লিটারের ৭৬০ টাকা। একইভাবে লিটারপ্রতি ১৫০-১৫৫ টাকার খোলা সয়াবিন তেল ১৫৫-১৬০ টাকায়, ১৩০-১৩৫ টাকার পাম অয়েল ১৩৫-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ওদিকে পেঁয়াজের কেজি দেশি ভালো মানেরটা ৩০ টাকা আর ভারতীয়টা (আমদানি) ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি ১৫-২০টাকায় ও ডিমের ডজন ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি গাজর ও পাকা টমেটো ৩০, শিম ৩০-৬০ টাকা, শালগম (ওল কপি) ৪০, বরবটি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিপিস ফুলকপি ৪০ ও লাউ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে লাল ১৫ ও পালং ১৫ টাকায়। তবে আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫-২০ টাকা কমেছে খামারে পালিত মুরগির দাম। ব্রয়লার ১৬০-১৬৫ টাকায়, সোনালি ২৩০-২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এমকে