স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না কেউ

০৭ মে ২০২১

দিন গুনলে এখনো ঈদের ৪/৫ দিন বাকি, শুরু হয়নি ঈদের ছুটি। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে শুক্রবার থেকেই শহরে বসবাসরত মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন গ্রামের বাড়ি। পথে করোনার স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না কেউ। এদিকে ঈদ ঘিরে সারা দেশেই জমে ওঠেছে ঈদবাজার।ক্রেতা-বিক্রেতারা কেনা-বেচা করছেন নির্বিঘ্নে, স্বাভাবিক পরিস্থিতির মতো। কেনাকাটায় খুব একটা গা করা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা। ফলে করোনার সংক্রমণ ছড়িযে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ঈদ ঘিরে মানুষের বেপরোয়া চলাচল চলমান করোনা পরিস্থিতিকে কঠিন করে তুলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেছেন- ১৬ মে’র পর থেকে এর প্রভাব দেখা যাবে দেশে। অন্যদিকে ঈদ উপলক্ষে ছুটাছুটি না করে যে যেখানে যেভাবে আছেন, সেভাবেই ঈদ করতে সবার প্রতি আহবান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, করোনার সময়ে বেঁচে থাকলে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা হবেই। বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দফতরের জলযান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায়।

শুক্রবার নৌপথে মানুষের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে। ভীড় ছিল সড়ক পথেও। ফেরি পারাপারা তিল ধারনের জায়গা ছিল না। ছিল না সামাজিক দুরত্বের বালাই। এদিকে সরকারের তরফ থেকে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগে বাড়তি ভাড়া হাতিয়ে নিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। জরুরি প্রয়োজন না থাকলেও কেবল ঈদ উদযাপনে চারগুণ থকে পাঁচগুণ বেশি ভাড়া গুনে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার বা ছোট ছোট লেগুনা যোগে বাড়ি ফিরছেন সাধারণ যাত্রীরা। তবে এমন পরিস্থিতিতে বেশি বিপাকে পড়েছেন তারা, যারা জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছে কাজে বা ফিরছেন বাড়ি।

যাত্রীরা বলছেন, প্রতি ঈদেই বাড়তি ভাড়া আদায়ের রেওয়াজ বেশ পুরনো।কিন্তু এবার আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ থাকার অযুহাতে কাটা হচ্ছে পকেট। বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন, সেই সঙ্গে করোনার স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়টিও দেখতে হবে। কারণ পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বিধিনিষেধের নির্দেশনার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী তুললে সাধারণ যাত্রীদের তেমন কিছুই করার থাকে না। আর এতে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকেই।

এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর