হুদার মতো লোক নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে: সুজন সম্পাদক

২৯ জানুয়ারী ২০২২

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত সদ্য পাস হওয়া আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার মতো লোক নিয়োগ দেওয়ার ‍সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তার আগে নূরুল হুদাকে ‘খলনায়ক’ আখ্যায়িত করেন। বলেন, বর্তমান ইসির অধীনে অনেক অনিয়ম হয়েছে, যেগুলোর বিচার হয়নি। বিচার করার অভিপ্রায়ও ছিল না। আমাদের দুর্ভাগ্য এরকম একজন খলনায়ককে নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন। দু’দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া সিইসি’র বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুজন। এ সময় টিআইবির গবেষণা ও বিবিসির খবরের বরাত দিয়ে নির্বাচনে অনিয়মের তথ্য তুলে ধরেন বদিউল আলম মজুমদার।

গত ২৭ জানুয়ারি নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা এবং সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বিষয়ে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ আনেন বর্তমান সিইসি।

সংবাদ সম্মেলনে সুজনের বক্তব্য হিসেবে বলা হয়, এক কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগসহ কিছু কুরুচিপূর্ণ, অশালীন, অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন সিইসি। এমন মিথ্যাচারে হতবাক সুজন। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ড. বদিউল আলম মজুমদারের ব্যক্তিগত আর্থিক লেনদেনের কোনও সম্পর্ক নেই এবং কোনোদিন ছিল না। তাই এসব অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে সিইসি হুদাকে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, একটি বিতর্কিত নির্বাচনের অকাট্য কিছু প্রমাণ ও তথ্য প্রকাশ করায় সুজন ও ড. বদিউল আলম মজুমদারের ওপর কে এম নূরুল হুদার ক্ষিপ্ত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। তাছাড়া ২০২০ সালে ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে নূরুল হুদা কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের যে আবেদন করেন, তাতে ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ সুজন- এর অনেক নেতারা সই করেন। এজন্যই সিইসি’র গাত্রদাহ। আর নিজের অপকর্ম ও দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থাকে অকার্যকরের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণের পক্ষপাতদুষ্টতার কলঙ্ক আড়াল করতেই সুজনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন নূরুল হুদা।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর