পবিত্র শবে কদর বা লাইলাতুল কদর। রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে শবে কদরের রজনী খোঁজার কথা বলা হয়েছে।
এ রাত ‘হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’। কারণ, পবিত্র আল-কোরআন লাইলাতুল কদরে নাজিল হয়। তাই মুসলিম উম্মাহর কাছে শবে কদরের গুরুত্ব খুবই তাৎপযপূর্ণ। এই রাত হাজার মাসের চেয়েও বেশি ইবাদতের নেকি-লাভের সুযোগ এনে দেয়।
এ রাতে জিকির-আজগার, ইবাদত-বন্দেগি ও কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে মুসলমানরা মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনা করেন। পবিত্র শবে কদর উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
রমজান মাসের বিশেষ মর্যাদার অন্যতম দিক ‘লাইলাতুল কদর’ বা কদরের রাত, যার অপর নাম শবে কদর। আল্লাহ মহিমান্বিত এই রাতে কোরআন নাজিল করেছেন এবং রাতকে হাজার মাসের চেয়ে মর্যাদাবান ঘোষণা করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রাতে। আর মহিমান্বিত রাত সম্পর্কে তুমি কি জানো? মহিমান্বিত রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা : কদর, আয়াত : ১-৩)
লাইলাতুল কদরের মর্যাদা
কোরআনে উল্লেখিত আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা শবে কদর বা কদরের রাতের মর্যাদা প্রমাণিত। মহানবী (সা.) আরো বলেন, ‘তোমাদের কাছে এ মাস সমুপস্থিত। এতে রয়েছে এমন এক রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ থেকে যে ব্যক্তি বঞ্চিত হলো সে সমস্ত কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হলো। কেবল বঞ্চিত ব্যক্তিরাই তা থেকে বঞ্চিত হয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪৪)
‘লাইলাতুল কদর’ কোনটি?
বেশির ভাগ হাদিসবিশারদের মতে, লাইলাতুল কদর বা কদর রাত রমজানের শেষ দশকে রয়েছে। এ ব্যাপারে বিশুদ্ধ হাদিসে ছয় ধরনের বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা আবশ্যক। কেউ যদি তাতে অক্ষম হয়, তবে সে যেন শেষ তিন বিজোড় রাতে (২৫, ২৭, ২৯) আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান করে। আর তা-ও যদি সম্ভব না হয়, তবে সে যেন ২৭ রমজানের রাতে তা অনুসন্ধান করে।