চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্রগ্রামের হাটহাজারীতে হেফাজতের সাম্প্রতিক তাণ্ডব ও সহিংসতার ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজী। অন্যদিকে সংগঠনটির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মুফতি হারুন ইজাহারকে আরও দুইদিনের রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার কৌশিক আহমেদের আদালতে এ জবানবন্দি দেন জাকারিয়া নোমান ফয়েজী। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই আদালত হারুন ইজাহারের আরো ২ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
৫ মে বিকালে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে নোমান ফয়েজীকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ৬ মে আদালতের মাধ্যমে তাকে ৫ দিনের জন্য রিমাণ্ডে নেয় পুলিশ। রিমাণ্ড শেষে তাকে আদালতে পাঠালে এ জবানবন্দি দেন হেফাজতের এ নেতা।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরবিরোধী কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ জুমার নামাজের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার জের ধরে হাটহাজারী ও পটিয়ায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪ হাজার ৩০০ জনকে আসামি করে পটিয়া ও হাটহাজারী থানায় হামলা, ভূমি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত পৃথক সাতটি মামলা হয়। একই ঘটনায় ২২ এপ্রিল হেফাজতের নেতা-কর্মীদের আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা করে হাটহাজারী থানা পুলিশ। এর মধ্যে দুই মামলায় বিলুপ্ত কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরীকে আসামি করা হয়। তিন মামলায় আসামি করা হয় তিন হাজার জনকে। এর মধ্যে নোমান ফয়েজীসহ ১৪৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে গত ২৮ এপ্রিল রাতে নগরের লালখান বাজার জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার বাসা থেকে মুফতি হারুন ইজাহারকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭। পরের দিন চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আঞ্জুমান আরার ভার্চুয়াল আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ও গত ২৬ মার্চ তার বিরুদ্ধে করা একাধিক মামলায় তাকে ৯ দিনের রিমাণ্ডে নেয় পুলিশ। ৯ দিনের রিমাণ্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে আরো ২দিনের রিমান্ডে নেয়া হলো।
দিলীপ কুমার তালুকদার/এমকে