পাকিস্তানকে হারিয়ে শেষ চারে অস্ট্রেলিয়া

৩০ জানুয়ারী ২০২২

অ্যান্টিগা ও বারবুডার শহর নর্থ সাউন্ডে শুক্রবার প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তোলে সাত উইকেটে ২৭৬ রান।

 

বাবর আজ়মদের মতো পাকিস্তানের যুব দলের কাছেও বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন রইল অপূর্ণ। শুক্রবার কার্যত একপেশে ম্যাচে পাকিস্তানকে ১১৯ রানে হারিয়ে চলতি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান শেষ চারে খেলা নিশ্চিত করে ফেলেছে।

 

অ্যান্টিগা ও বারবুডার শহর নর্থ সাউন্ডে শুক্রবার প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৭ উইকেটে ২৭৬ রান। হাফ সেঞ্চুরি করেন দু’জন। টেগ উইলি ও কোরে মিলার। মাত্র তিন রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া কেন ক্যাম্পবেল কেলাওয়ে। উইলি এবারের প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত মোট ২৬৯ রান করেছেন। গড় ১৩২। জবাবে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ১৫৭ রানে। তৃতীয় উইকেটে ৫০ রানের একটা জুটি ছাড়া পাক ব্যাটারদের কাছ থেকে কোনো প্রতিরোধই পাওয়া যায়নি।

 

পাকিস্তানই টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল। হতে পারে, এই সিদ্ধান্তের জন্য আফসোসই করতে হয়েছে পাক শিবিরকে। তবু তাদের বোলারদের মধ্যে কাসিম আক্রম মোটামুটি সফল। তিনি তিন জন অস্ট্রেলীয় ব্যাটারকে ফেরান ৪০ রান খরচ করে। ক্যাম্পবেলকেও তিনিই আউট করেন। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। মিলার একই ভাবে অস্ট্রেলিয়ার রান তোলার গতি বাড়ানের দায়িত্ব নেন।

 

মিলার আউট হওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল তিন উইকেটে ২০৩। তখনও তাদের হাতে ১০ ওভার ছিল। দ্রুত রান তোলায় কম যাননি অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক কুপার কোনোলি (৩৩) ও উইলিয়াম

স্যালজ়ম্যানও (২৫)।

 

অস্ট্রেলিয়া শেষপর্যন্ত ২৭৬ রান তুলে ফেলায় বোঝা গিয়েছিল, পাক দলের পক্ষে এই ম্যাচ বার করা রীতিমতো কঠিন হতে পারে। হয়েছেও ঠিক তাই। পঞ্চম ওভারে তাদের স্কোর দাঁড়ায় দু’উইকেটে ২৭। ফিরে যান দুই ওপেনার মহম্মদ শেহজ়াদ ও হাসিবুল্লাহ খান। সে সময় কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেন আব্দুল আসিহ (২৮) ও ইরফান খান (২৭)। কিন্তু ইরফানকে বোল্ড করে দেন স্যালজ়ম্যান (৩-৩৭)। তার পর থেকে কার্যত বিনা প্রতিরোধেই একের পর এক ফিরে যেতে থাকেন করে পাকিস্তানের ব্যাটাররা।

 

আরআই


মন্তব্য
জেলার খবর