দেশে করোনার বিস্তার রোধে ধর্ম মন্ত্রণালয় যেখানে ঈদগাহ বা খোলা ময়দানের পরিবর্তে মসজিদে ঈদের জামাত করার নির্দেশনা দিয়েছে, সেখানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উল্টো পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ হচ্ছে- উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত আয়োজনের। দেশের আলেম, ওলামা এবং সংশ্লিষ্টদেরক বিষয়টি ভেবে দেখার আহবানসহ এর পেছনে বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তি খাড়া করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার দেয়া স্বাস্থ্য অধিদফতেরর এ পরামর্শের বিষয়টি বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য বুলেটিনে পরিস্কার করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. নাজমুল ইসলাম। বলেছেন, খোলামেলা জায়গায় নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়ালে এবং বায়ু প্রবাহ থাকলে, সেটি কিন্তু সংক্রমণ না ছড়ানোতে সহায়তা করবে, সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধর্ম মন্ত্রণালয় যেটি বলেছে, সেটি আমরা পরীক্ষা করে দেখবো। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। আশা করি, আমরা খুব দ্রুত এটি সুরাহা করতে পারবো। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে করোনার স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত করার পরামর্শ দেন অধিদফতরটির অতিরিক্ত পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।
এদিকে গতকাল বুধবার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, উন্মুক্ত স্থানের পরিবর্তে মসজিদেই ঈদের জামাত করতে হবে। গত এপ্রিলেই এ বিষয়ে নির্দেশনাসহ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- সামাজিক দুরুত্ব ও করোনার স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদগাহ বা উন্মুক্ত স্থানের পরিবর্তে মসজিদে ঈদের জামাত করতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক জামাত করা যাবে। ঈদের নামাজ আদায়ে জামাতে ও মসজিদে অনুসরণীয় কিছু নির্দেশনাও রয়েছে প্রজ্ঞাপনে। নামাজ শেষে প্রচলিত কোলাকুলি বা হাত মেলানো থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, করোনার কারণে গত বছরও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশে ঈদগাহে বা উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত হয়নি।যদিও গতবারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে কোনো আপত্তি করেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এমকে