সংক্রমণ বাড়বে ২১ মে’র পরে!

১৬ মে ২০২১

ঈদের উপলক্ষে বাড়িমুখী জনস্রোত ঈদের পরে শহরে ফেরার ক্ষেত্রেও দেখা যেতে পারে। এটা অনেকটাই নিশ্চিত ঘরমুখো জনস্রোতের কারণে ২১ মে’র পরে দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়বে। এ জনস্রোত নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন সরকার। সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কাসহ উদ্বিগ্নের কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। যদিও সরকার জনস্রোত ঠেকাতে চাচ্ছে, বাড়ি ফেরা মানুষকে সাতদিন বাড়িতে রাখতে চাচ্ছে। এ জন্য চলমান বিধিনিষেধের (লকডাউন) মেয়াদ আরো সাতদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, আজ রোববার চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্ধিত সাতদিন বিদ্যমান শর্তই বহাল থাকবে। তবে বাড়ির বাইরে সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পুলিশকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার কথা ভাবছে সরকার। এটা দেয়া হলে আইন অমান্য তথা মাস্ক ব্যবহার না করলে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ আইনে ক্ষমতা প্রয়োগ তথা শাস্তি দিতে তারা।

এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও দ্বিতীয় দিনের মতো বলেছেন, ঈদের আগের মতো ঈদের পরে ফিরে আসার যাত্রায় বাঁধভাঙা জনস্রোতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাদাগাদি করে চলার কারণে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। শনিবার (১৫ মে) তার সরকারি বাসভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ আশঙ্কার কথা জানান ।

অন্যদিকে করোনা উদ্ভুদ চলমান পরিস্থিতিতে দুরপাল্লার বাস চালুর বিষয়ে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তাদের দাবি অনুযায়ী দুরপাল্লার বাস চালুর অনুমতি দেয়াটা আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত হবে। এতে সংক্রমণ এলাকা থেকে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার অবাধ সুযোগ সৃষ্টি হবে। কেননা এখন পর্যন্ত করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রতিশ্রুতি দিলেও সংশ্লিষ্টরা কেউই সেটা পুরোপুরি রক্ষা করেনি। ঈদবাজারে উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি, অথচ দোকান খোলার অনুমতি দেয়ার দাবি জানানোর সময় দোকান মালিক সমিতি সরকারকে প্রতিশ্রুতি  দিয়েছিল- শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দোকান খুলতে চান তারা।

সরকারের পক্ষ থেকে করোনার সংক্রমন বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করা হলেও ঘরে ফেরা লাখ লাখ মানুষ কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজধানীতে ফিরবেন বা কীভাবে যানবাহনে গাদাগাদি পরিস্থিতি ঠেকানো যায়, সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে এখানো জানানো হয়নি।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর