ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় বাড়ি থেকে শহরে ফিরতে শুরু করেছেন নানা পেশার মানুষ। ঈদ উপলক্ষে বাড়ি যাওয়ার মতোই ফেরার পথেও রীতিমতো উপেক্ষিত হচ্ছে সামাজিক দুরুত্ব, অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি । গাদাগাদি আর ঠেলাঠেলির এ যাতায়াতে করোনার সংক্রমণ বিস্তার নিয়ে রীতিমতো উদ্বগ্নি সরকার। কিন্তু যানবাহনে মানুষের ভীর দেখে মনে হচ্ছে- জীবিকার স্বার্থে আপোসহীন মানুষের করোনা নিযে কোনো মাথা ব্যাথাই নেই, যে যার মতো যেমন করে পারছেন ফিরছেন।
ছুটি শেষ হওয়ার দিন শনিবার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে কম থাকলেও রোববার (১৬ মে) সকাল থেকেই বাড়তে শুরু করেছে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ। দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার এ রুট দিয়ে মানুষ যেভাবে ঈদে গ্রামে গেছেন, ঠিক সেই একইভাবে ফিরছেন কর্মস্থলে। প্রতিটি ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহনের ভিড় দেখা গেছে। পাশাপাশি যারা ঈদপূর্ব ছুটি পাননি, তাদের অনেককেই বাড়িতে যেতে দেখা গেছে।
করোনার সংক্রমণ বিস্তার রোধকল্পে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই জেলার অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল যোগে ঘাটে পৌঁছেছেন যাত্রীরা। ঘাট পার হয়ে একইভাবে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে কর্মস্থলে পৌঁছাতে হচ্ছে তাদের।
ফেরিঘাটে কয়েকজন যাত্রী জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার সময় পথে চরম হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে তাদের। এ জন্য ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে ঈদের একদিন পর কর্মস্থলে রওনা হয়েছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা এরিয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার থেকে মানুষ কর্মস্থলে ফেরা শুরু করেছেন। বর্তমানে এ নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। ছুটি শেষে যাত্রী ও ছোট যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়লেও পারাপারে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। এ রুটে ঈদের আগে ১৭টি ফেরি চলাচল করছিল। এর মধ্যে একটি ফেরি শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফিরে গেছে। এদিকে অন্যান্য নৌরুটেও ভীড় দেখা গেছে। অভ্যন্তীরণ পরিবহনে চড়েই জেলার পর জেলা পাড়ি দিচ্ছেন গ্রাম থেকে শহরমুখী মানুষ।
এমকে