চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে রোববার চলছিল মিনিস্টার ঢাকার অনুশীলন। নেটে ব্যাট করছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও শেহজাদ। হঠাৎ দেখা যায় একটি হেলিকপ্টার নেমে আসছে।
সেই সময় আরো অনুশীলন করছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা। তবে পুরো মাঠ ফাঁকা থাকলেও খেলোয়াড়দের কাছেই ল্যান্ডিং করে হেলিকপ্টার। ধুলায় তখন কাউকে দেখা যাচ্ছিল না। দৌড়ে বাউন্ডারির রেলিংয়ের পাশে চলে যান সকলে। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক! এরপর মাঠে ঢোকে স্কয়ারের এম্বুলেন্স।
সেটি থেকে মুমূর্ষু একজন রোগীকে বের করে হেলিকপ্টারে তোলা হয়। ১৫ মিনিট বন্ধ থাকে অনুশীলন। পরে জানা গেছে সড়ক দুর্ঘটনায় মুমূর্ষু একজনকে জরুরি ভিত্তিতে নেয়া হচ্ছে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে। আর হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল মাঠের উত্তর দিকে। কিন্তু পাইলট বুঝতে না পেরে খেলেয়াড়দের কোল ঘেঁষেই নামায়।
প্রচুর ধুলো, মরা ঘাস উড়িয়ে চারপাশ অন্ধকার করে গতকাল রোববার এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বেলা একটার পরপর মাঠে নামে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। একজন মাঠকর্মীকে দেখা যায় পতাকা উড়িয়ে ইশারা করতে, কোথায় নামতে হবে। পাইলট হয়তো তা বুঝতে পারেননি। নামান খেলোয়াড়দের জটলার ঠিক মাঝে। উত্তেজিত এক মাঠকর্মী তেড়ে যান এয়ার এম্বুলেন্স থেকে নামা লোকজনের দিকে। কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডার পর ওই মাঠকর্মী সাংবাদিকদের জানান, একটু আগেই মাঠে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নামার খবর পান তারা। কথা ছিল নামবে খেলোয়াড়দের অনুশীলন থেকে দূরে, যেন তাদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা না জাগে। মিডিয়া গেট প্রান্ত দিয়ে স্কয়ারের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হয় রোগীকে। মিনিট বিশেক পরই দুর্ঘটনার শিকার রোগীকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেয় এয়ার এম্বুলেন্সটি।
আরআই