৩ দিনের রিমাণ্ডে রিজেন্ট সাহেদ

১৭ মে ২০২১

 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে ৩ দিনের রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ। ডবলমুরিং থানার এ মামলায় তাকে ৭ দিনের রিমাণ্ডে নেয়ার জন্য আবেদন করলে সোমবার ( ১৭ মে) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালত মেহনাজ রহমান ৩ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, গত ১৩ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে নগদ ৩২ লাখ এবং চেকের মাধ্যমে ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে মেগা মার্ট মোটরসের মালিক জিয়া উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের পক্ষে মামলাটি করেন মো. সাইফুদ্দিন। ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে মো. সাহেদ টাকাগুলো হাতিয়ে নেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঢাকার ব্যবসায়িক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শহীদুল্লাহর মাধ্যমে মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের সঙ্গে ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ফেনীর ছাগলনাইয়ায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় ভুক্তভোগীর। সেখানে নানা ধরনের ব্যবসায়িক কাজের জটিলতা সমাধান করে দিতে পারবেন বলে সাহেদ প্রতিশ্রুতি দেন। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স মেগা মোটরসের আমদানি করা থ্রি-হুইলার ঢাকা সিটিতে চলাচলের রুট পারমিটসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি নিয়ে দেয়ার বিষয়েও আশ্বস্ত করেন মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। এর জন্য জিয়া উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি নিজ নামে খোলা প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঢাকা অ্যাভিনিউ গেট শাখার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নগদ ৩০ লাখ টাকা নেন সাহেদ করিম। একই বছরের ২৫ জানুয়ারি প্রিমিয়ার ব্যাংকের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখার মাধ্যমে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ৩০ জানুয়ারি ৫ লাখ টাকা, ১ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ৬ লাখ টাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২ লাখ টাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২ লাখ টাকা, ৫ মার্চ ১ লাখ টাকাসহ মোট ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা নেন। এ ছাড়া একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ১৮ লাখ, ৮ ফেব্রুয়ারি ৬ লাখ, ২০ ফেব্রুয়ারি ১ লাখ ও ৭ মার্চ ৭ লাখ টাকা মেসার্স মেগা মোটরসের অফিসে এসে নগদ নেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, টাকা নিয়ে ২০১৭ সালের ৫ মার্চ সাহেদ করিম মেগা মোটরসকে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করা একটি পরিপত্রের ফটোকপি দেন। রাজধানীতে ২শ তিন চাকার গাড়ি নামানোর অনুমোদন সরকার থেকে নিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মো. সাহেদ, যা ছিল ভুয়া। এরপর টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হলে সাহেদ প্রভাব খাটিয়ে উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এ কারণে মেসার্স মেগা মোটরর্সের মালিক পক্ষ পিছু হটে।

 

দিলীপ কুমার তালুকদার/এমকে

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর