জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই তাপদাহের কবলে পড়ছে গোটা দেশ। কোথাও কোথাও ঝড়-বৃষ্টি হলেও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা, আরো বাড়বে। আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাবে মৌসুমের ষষ্ঠ তাপপ্রবাহ চলছে এখন। চরম অস্বস্তির এ তাপদাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষসহ গোটা প্রাণীকুল। ছন্দপতন ঘটছে জনজীবনে, বিশেষত বেকায়দায় পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, বৃদ্ধ, শিশু আর ধান কাটার শ্রমিকরা। বেড়েছে পেটের পীড়াসহ গরমজনিত নানা রোগ। চলমান পরিস্থিতিতে বঙ্গোপসাগরের পৃষ্ঠদেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। পরবর্তী পাঁচ দিনের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে আবহাওয়া অধিদফতরের।
সোমবার দেশের তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যশোরে। আগের দিনও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরেই, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি গত এক সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপ ঘণীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ, পরে শক্তি সঞ্চয় করলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। আবর সাগরে ইতোমধ্যে সৃষ্ট একটি ঘূর্ণিঝড় গুজরাট উপকূল অতিক্রম করার পর্যায়ে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়- সীতাকুণ্ড, চাঁদপুর, কুমিল্লা, রাঙামাটি, মাইজদি কোর্ট, ফেনী, রাজশাহী, পাবনা ও তাড়াশসহ ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, আবহাওয়ার এমন রুপ অব্যাহত থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরো কিছুটা বাড়তে পারে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকায় এবং এর কিছু অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সোমবার বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৩৬ দশমিক ৭, ময়মনসিংহে ৩৪ দশমিক ২, চট্টগ্রামে ৩৪ দশমিক ২, সিলেটে ৩১ দশমিক ২, রাজশাহীতে ৩৭ দশমিক ৮, এবং বরিশালে ৩৭, রংপুরে ৩১ ও খুলনায়ও ১ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
এমকে