ইসরাইলকে আঘাত করার মতো যথেষ্ট শক্তি হামাসেরও আছে। এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের অস্ত্রভাণ্ডারের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার তাদের নানা ধরনের ভূমি থেকে ভূমিতে আঘাত করার শক্তি রাখা মিসাইল। মিশরের সিনাই থেকে কোরনেট চালিত ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রসহ এইসব মিসাইলের বেশ কিছু নিয়ে আসা হয়েছে।
তবে গাজা খাড়িতেই সচল ও তুলনামূলকভাবে অত্যাধুনিক অস্ত্র নির্মাণ ঘাঁটি থেকে বেশিরভাগ সমরাস্ত্র পায় হামাস ও ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠী। এই অস্ত্র নির্মাণ শিল্প গড়ে তোলায় ইরানের প্রযুক্তি ও সহায়তার বড় ভূমিকা রয়েছে। সেজন্যই ইসরায়েলি হামলার টার্গেট ছিল অস্ত্র নির্মাণ কেন্দ্র ও তা মজুত রাখার ঘাঁটিগুলি।
হামাসের হাতে কাসাম (১০ কিমি বা ৬ মাইল দূর পর্যন্ত টার্গেটে আঘাত করতে সক্ষম), কাডস ১০১ (১৬ কিমি পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করতে সক্ষম)-এর মতো স্বল্প পাল্লার প্রচুর মিসাইল আছে। আর আছে গ্রাড সিস্টেম (৫৫ কিমি পর্যন্ত দূরের টার্গেটে আঘাত করতে পারে), সেজিল ৫৫। আর আছে প্রচুর গোলাবারুদ। তবে হামাসরা এম-৭৫, ফজর, আর-১৬০, এম ৩০২ এর মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমও ব্যবহার করে। এগুলির কোনোটার ৭৫ কিমি, কোনোটার ১০০ কিমি, ১২০ কিমি পর্যন্ত দূরের টার্গেটে আঘাত হানার শক্তি আছে।
এম-৩০২ ২০০ কিমি পর্যন্ত দূরের টার্গেটে হামলা করতে পারে। সুতরাং জেরুজালেম, তেল আবিব-দুই জায়গাতেই হামলা করার মতো অস্ত্র হামাসের আছে, যা ইসরায়েলি জনসংখ্যার এক বড় অংশ ও তাদের নানা গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর সামনে বিপদ হতে পারে।
দ্য ওয়াল