ছিনতাইয়ের ঘটনা তদন্তকালে দেহ ব্যবসার গোমর ফাঁস

১৮ মে ২০২১

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চট্রগ্রাম নগরীতে মোবাইল ছিনতাইয়ের একটি ঘটনা তদন্তকালে ভাড়া ফ্ল্যাট বাসায় দেহ ব্যবসায় লিপ্ত দুই কিশোরীকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। চাকরীর প্রলোভনে জোর করে এ দুই কিশোরীকে যৌনবৃত্তিতে ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৭ মে) রাত ১১টার দিকে মোগলটুলী কাটা বটগাছ মোড়ের জাফর সওদাগরের বিল্ডিংয়ের আক্তারের ফ্লাটে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার ও আটক করা হয় তাদের।

আটকরা হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আক্তার হোসেন (৬৩), চট্টগ্রামের মোগলটুলীর কাটা বটগাছ এলাকার আবু আহাম্মদের ছেলে আবু হোসেন টিপু (২৯), নোয়াখালীর আলমগীরের ছেলে মজিবুল বশর রাজু (২০), চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার মগপুকুর পাড় এলাকার আলমগীর হোসেন আলম (৩৫),পাঠানটুলী এলাকার ইকবাল হোসেন জুয়েল (৩১), মোগলটুলী এলাকার বেলাল খান (৩১), মো. আকাশ (২৫), কুমিল্লামুরাদনগর থানার শুক্কুর (২২)। এদের মধ্যে আকাশের ঠিকানা জানা যায়নি। 

পুলিশ জানায়, টিপু সাহা নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন ঈদের দ্বিতীয় দিনে (১৫ মে রাতে) আটক আক্তার হোসেন তাকে ওই ফ্ল্যাটে কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে আক্তারসহ আবু হোসেন টিপু, মজিবুল বশর রাজু, আলমগীর হোসেন আলম টিপুর ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ও যাবতীয় জিনিপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে গিয়ে জানা যায়- দু’জন কিশোরীকে বেঁধে রেখে জোর করে যৌনবৃত্তি করানো হচ্ছে ওই ফ্ল্যাটে।

পুলিশ আরও জানায়, উদ্ধারের পর ডবলমুরিং থানায় আটক ৮ জনের নামে একটি মামলা করেছে উদ্ধার করা কিশোরীদের একজন। মামলায় বলা হয়েছে, নগরের একটি গার্মেন্টসে চাকরী করতেন তিনি। চাকরীর সুবাদে আসামি আকাশের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। কিন্তু সম্প্রতি গার্মেন্টস থেকে চাকরী চলে যাওয়ার পর ঈদের ৩ দিন আগে তাকে ভালো চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে আকাশ। তাকে ফ্ল্যাটে বেঁধে রেখে আক্তার হোসেনের কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। পরে আবু হোসেন টিপু, মজিবুল বশর রাজু, আলমগীর হোসেন আলম প্রতিদিন সেই ফ্ল্যাটে খদ্দের নিয়ে আসতো। খদ্দেরদের সাথে শারীরিক সম্পর্কে আপত্তি জানালে মারধর করা হতো। অন্যদিকে অপর কিশোরীকে ওই দেহ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয় শুক্কুর।

ডবলমুরিং থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে যৌনবৃত্তির বিষয়টি জানতে পারি। আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 

দিলীপ কুমার তালুকদার/এমকে 

 


মন্তব্য
জেলার খবর