সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শাহমূলক হত্যা মামলার ৩২ আসামি থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। মঙ্গলবার (১৮ মে ) দুপুরে দল বেঁধে আত্মসমর্পণের পর তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দিরাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আজিজুর রহমান। শাহমূলক (৪০) নুরনগর গ্রামের বেক্কই মিয়ার ছেলে। ১৩ মার্চ বিবাদমান দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন তিনি।
আত্মসমর্পণকারী আসামিরা হলো- দিরাইয়ের বাসিন্দা পাবেল মিয়া (৩০), জয় তালুকদার (২৩), আজহার তালুকদার (২২), বাবু তালুকদার (২৫), রেজু তালুকদার (৩০), জসিম মিয়া (৩০), ছুটিল তালুকদার (৫০), রুমান তালুকদার (২৫),ছট্ট মিয়া তালুকদার (৪০),ছলিম তালুকদার (৫২), সুজা তালুকদার (৪০),ছানুয়ার তালুকদার (৫৫),সোহাগ রাজা তালুকদার (৩৫),সারিক তালুকদার (৩০), আবুক খায়ের মিয়া (৪৫), জাহাঙ্গীর তালুকদার (৫২), অম্রিত তালুকদার (২৪), মকুট তালুকদার (২৫), বখতিয়ার তালুকদার (২০), সুহেল মিয়া (৩০), সেজেল তালুকদার (৩৫), মেহরাব তালুকদার (২৬) লেকান্নুর মিয়া ওরফে লেকানুর (৩৫),আব্দুল হাকিম (৩২), তফুর তালুকদার (৩৪), ছালে আহমদ তালুকদার (৪০), হুমায়ুন তালুকদার (২২), সাদেক নুর (২৫), কিবরিয়া তালুকদার( ২৫), নাছির তালুকদার (২২),আবু সালেক তালুকদার (২৬) ও মীর হোসেন তালুকদার (২৭)।
দিরাই থানা সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার, সরকারি জায়গা দখল ও মামলা-মোকদ্দমার জেরে নুরনগর গ্রামের সামছুল হক ও পারুল তালুকদারের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শাহমূলক ছিলেন সামছুল হক গ্রুপের লোক। এ ঘটনায় তার ভাই সামছুল হক দিরাই থানায় মামলাটি করেন। মামলার পর থেকে আসামিদের ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু আসামিরা বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে থাকায় তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওসি আজিজুর রহমান বলেন, আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠান।
মনোয়ার চৌধুরী/এমকে