গণমাধ্যম ও সরকার কী মুখোমুখি হচ্ছে?

২০ মে ২০২১

সাংবাদিক রোজিনাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের কক্ষে আটকে রেখে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে হেনেস্তাসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা, তার নামে সরকারি গোপনীয় নথি চুরির অভিযোগে মামলা দেয়া ও সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো নিয়ে দুদিন ধরে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দেয়ার প্রতিবাদে ফঁসে ওঠেছে দেশের গোটা সাংবাদিক সমাজ, ধিক্কার জানিয়েছে সুশিল সমাজ। রাজনৈতিক দলসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংগঠন রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে, উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘও। কিন্তু ঘটনাটির কোনো সুরাহা না হওয়ায় ও সাংবাদিকরা রাজপথে থাকায় উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- তবে কী গণমাধ্যম ও সরকারকে মুখোমুখি হচ্ছে? এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালালের হুশিয়ারি উচ্চারণের পরই প্রশ্নটি আলোচিত হচ্ছে জোরেশোরে।  

মোল্লা জালাল বলেছেন, সাংবাদিক রোজিনার বিষয়ে সাংবাদিকদের দাবি মেনে নেয়া না হলে কঠোর কর্মসুচিতে যাবে সাংবাদিক সমাজ। আর সরকার ও সাংবাদিক যদি মুখোমুখি অবস্থান নেয়, তাহলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে। বুধবার (১৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে বিএফইউজে’র মানববন্ধনে এ  হুঁশিয়ারি দেন।

রোজিনার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মোল্লা জালাল বলেন, রোজিনা ইসলামের ওপর যে অন্যায় হয়েছে, সেটা সংবাদ মাধ্যমের ওপর  এক বর্বরোচিত হামলা। আজ সেই কারণে সারা দেশের সাংবাদিক সমাজ ফুঁসে উঠেছে। আজকের এ সমাবেশ থেকে আমাদের সুনির্দিষ্ট দাবি জানিয়েছি। আগামীকাল(আজ বৃহস্পতিবার) নিঃশর্ত মুক্তির মাধ্যমে রোজিনাকে আমাদের মধ্যে ফেরত চাই। আপনাদের প্রতি আগাম পরামর্শ তার মুক্তির পর আমরা তাকে বরণ করে নেবো, আমাদের সাফল্যের অংশ হিসেবে।

এ সাংবাদিক নেতা বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। রোজিনার বিরুদ্ধে যে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে, তার তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। সেই কমিটিতে সাংবাদিকদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল আলম, ডিআরইউ সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ডিউজে সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর