সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও ও এসআই লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ মামলার বাকি আসামিদের মধ্যে ৪জনকে যাবজ্জীবন ও ৭জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা ২২ মিনিটের দিকে কাঠগড়ায় সব আসামির উপস্থিতিতে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাকিরা হচ্ছে- এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব, রুবেল শর্মা, পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দীন। আর খালাস পাওয়া আসামিরা হচ্ছেন- এপিবিএনের এসআই শাহজাহান আলী, কনস্টেবল মো. রাজীব, মো. আব্দুল্লাহ, পুলিশের কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, লিটন মিয়া ও পুলিশের কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনশ’ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণার সময় পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, সিনহা হত্যা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এদিকে রায়কে ঘিরে কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে ছিল কড়া নিরাপত্তা। বিচারক আসার বেশ আগেই এজলাসকক্ষ গমগম করছিল সাংবাদিক এবং আইনজীবীদের উপস্থিতিতে।
গত বছর ২৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয়। শেষ হয় গত ১২ জানুয়ারি। বিচারক ৩১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। হত্যাকাণ্ডের আঠারো মাস পর এ মামলার রায় হলো। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়ার শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ। ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলাটি র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত। তদন্ত শেষে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব।
এমকে