পটুয়াখালী সংবাদদাতা
এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক-কর্মচারীরা। বেতন-ভাতা না পাওয়ায় করছেন মানবেতর জীবন-যাপন। আয় না থাকায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ কিন্ডারগার্টেন। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত বছরের মার্চ থেকে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার প্রায় সব কিন্ডারগার্টেনই নিজস্ব অর্থায়নে ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টিউশন ফি দ্বারা পরিচালিত হয় এসব প্রতিষ্ঠান। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক কিন্ডারগার্টেন ছিল। প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থী এসব কিন্ডারগার্টেনে পড়ালেখা করতো, সব মিলিয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী ছিল প্রায় ১ হাজার ৮০০ জন। কিন্তু করোনার কারণে ইতোমধ্যে ৮০টির বেশি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে। জেলা সদরে কিন্ডারগার্টেন ছিল ২০টি, এর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৬ টি কিন্ডারগার্টেন। দ্রুত স্কুল না খুললে বাকি কিন্ডারগার্টেনও বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পটুয়াখালী বাটারফ্লাই কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক সাদ্দাম হোসেন বলেন, এক বছরের বেশি হলো আমাদের কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ রয়েছে। জেলা সদরের এসব কিন্ডারগার্টেন কখনো সরকারের দেয়া আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেনি। অধিকাংশ কিন্ডারগার্টেন ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।
পটুয়াখালী কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের তথ্যমতে, জেলা সদরের কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের দেওয়া টিউশন ফি থেকে ৪০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ৫০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, বাকি ১০ শতাংশ টাকা বিদ্যুৎ বিল ও পানির বিলসহ অন্যান্য খরচ নির্বাহে চলে যায়। এ অবস্থায় স্কুল বন্ধ থাকায় কোনো টিউশন ফি আদায় না হওয়ায় বাড়িভাড়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
পটুয়াখালী হলি চাইল্ড কিন্ডারগার্টেন পরিচালক তানজিল মাহমুদ বলেন, সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকেরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক-কর্মচারী তাঁদের বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সুনান বিন মাহাবুব/এমকে