করোনার বিস্তার রোধকল্পে দেশে সরকার আরোপিত চলমান বিধিনিষেধের(লকডাউন) মেয়াদ আরো সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদের লকডাউনে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত, বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানাদি ও অফিস-আদালতের বিষয় ছাড়া আগের প্রায় সব শর্তই শিথিল করা হয়েছে। রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চলমান ‘লকডাউন’ আগামী ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বর্ধিত লকডাউনে ট্রেন, দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে করোনার স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মেনে মোট আসনের ৫০ শতাংশ আসনে যাত্রী পরিবহন করতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা। হোটেল, রেস্তোরাঁ স্বাস্থ্যবিধি মেনে (দুই আসনে একজন) খুলে দেয়া হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালতের ক্ষেত্রে আগের নির্দেশনা বহাল থাকবে। দোকানপাট/শপিং মল আগের ন্যায় খোলা থাকলেও সব দোকানপাট-শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় দোকানপাট, শপিং মল তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেয়া হবে। শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জনসমাগমপূর্ণ সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। করোনা প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন, জেলা সদর, পৌরসভা এলাকায় বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন/পৌরসভা মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে এবং সমন্বিত ভাড়ায় দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল করবে। গাড়ি চালু করার আগে গাড়িকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন-জীবিকা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। ফলে ধীরে ধীরে সবকিছু খুলে দেয়ার প্রক্রিয়া হিসেবে ট্রেন, লঞ্চ ও দুরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সংক্রমণ বাড়লে আবারো সিদ্ধান্তের পরিবর্তন এনে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া হবে।
এমকে