প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় কারাগারকে যুগোপযোগী ও সংশোধনাগারে রূপান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বলেছেন, বন্দিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, যাতে কারাগার থেকে বের হয়ে কাজ করতে পারেন তারা। রোববার কারা অধিদফতরের এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান থেকে দেশের তিনটি কারাগারে নবনির্মিত আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারাগারের পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটাই বদলেছে। আসামিরা ভালো পরিবেশে থাকছেন। খাবারের মেন্যুতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দেয়া হচ্ছে। কারাগারের ভেতরে খরচের জন্য ‘বিকাশ’ ও ‘নগদে’ টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, করোনার পরিস্থিতিতে কারাবন্দিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ কারণেই বন্দিদের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। বন্দিদের মধ্যে করোনা যাতে না ছড়াতে পারে, সেজন্য করোনাকালে তাদেরকে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হচ্ছে না। বিকল্প হিসেবে তারা ১০ মিনিট ফোনে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন।
আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন করা কারাগার তিনটি হচ্ছে- কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কিশোরগঞ্জ এবং ফেনী জেলা কারাগার। কোনো বন্দির মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে বা কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে এখানে রাখা হবে। তিনটি সেন্টার মিলে ১৩৯ জনকে চিকিৎসা দেয়া যাবে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে এখানে চিকিৎসক ও নার্স দেয়া হয়েছে। কারা অধিদপ্তর ও ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রসের (আইসিআরসি) যৌথ উদ্যোগে এ সেন্টারগুলো চালু করা হয়েছে। এ তিনটি ছাড়াও আরো ৬ টি আইসোলেশন সেন্টার রয়েছে বিভিন্ন কারাগারে।
এমকে