আগামী অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন বসছে ২ জুন, চলবে ১২ দিন। অধিবেশন শুরুর দ্বিতীয় দিনে অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করবেন। শুরুর দিনে শোক প্রস্তাব গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের বৈঠক শেষ হবে। ১১ মে সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহবান করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। এ বাজেটটি আওয়ামী সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের ত্রয়োদশতম বাজেট।
জানা গেছে, এ অধিবেশন ঠিকঠাক মতো পরিচালনার জন্য সংসদ সচিবালয় ইতোমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে, অধিবেশনের একটি খসড়া কার্যসূচি তৈরি করেছে। অবশ্য পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এতে পরিবর্তন আসতে পারে।
শুরুর দিনে বৈঠক বসবে বিকাল ৫টায়, প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন খসরু এবং আসলামুল হকের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব ও আলোচনা হবে। পরে রেওয়াজ অনুযায়ী বৈঠক শেষ হবে। বাজেট প্রস্তাবের দিনে বৈঠক বসবে বিকাল তিনটায়। পরের কার্যদিবসের বৈঠক শুরু হবে সকাল ১১টায়। মাঝের দিনগুলো বিরতির পরে ৬ জুন কমিটির বিল সম্পর্কিত রিপোর্ট উত্থাপন, চারটি বিল উত্থাপন এবং সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা হবে। ৭ জুন সম্পূরক বাজেটের ওপরে আলোচনা ও পাস এবং নির্দিষ্টকরণ সম্পূরক বিল পাস হবে।
এর সপ্তাহখানেক বিরতি দিয়ে ১৪ জুন বৈঠক শুরু হবে। পরপর চার দিন প্রস্তাবিত বাজেটের ওপরে সাধারণ আলোচনা হবে। তারপর আরো ১১ দিন বিরতি দিয়ে ২৮ জুন বৈঠক বসবে, এ দিনও বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা হবে। পর দিন মূল বাজেটের ওপরে সমাপনী আলোচনা হবে, পাস হবে অর্থবিল। ৩০ জুন মন্ত্রণালয় ও বিভাগভিত্তিক মজুরি দাবি নিষ্পত্তিসহ নির্দিষ্টকরণ বিল পাস হবে। ১ জুলাই প্রশ্ন-উত্তর পর্ব, বেসরকারি বিল উত্থাপন, সরকারি বিল পাসের মধ্য দিয়ে অধিবেশন শেষ হবে। অধিবেশন শেষের দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দিবেন, বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারাও বক্তব্য দিবেন।
জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারও বাজেট উপস্থাপনের আগে একই দিনে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক হবে। বৈঠকের পর অর্থ বিলে সই করবেন রাষ্ট্রপতি । আর্থিক বিষয়ক বিল সংসদে তোলার আগে রাষ্ট্রপতির সই নিতে হয়। এ কারণে রাষ্ট্রপতি সেদিন সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে অবস্থান করবেন।
গত বছর বাজেট অধিবেশন ১০ জুন শুরু হয়। সংক্ষিপ্ত ওই অধিবেশনে চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১ ) জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। আকার ঠিক রেখে বাজেট পাস হয় ৩০ জুন। ৯ কার্যদিবসের এ অধিবেশন ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম বাজেট অধিবেশন।
এমকে