হানা দেয়ার দেড় বছর পার হতে চললো করোনার। এ সময়ে কখনো কম, কখানো বেশি, আবার কখনোবা প্রায় সমান তালে তাণ্ডব চালিয়েছে সংক্রামক এ রোগ। রোগের সঙ্গে কুলায়ে ওঠতে ইতোমধ্যেই টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু সংক্রমণ থামানো যাচ্ছে না, লম্বা হচ্ছে লাশের মিছিলও। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে করোনা নির্মূল করতে চাইলে অন্ততঃ ৭০ শতাংশ লোককে টিকার আওতায় আনতে হবে। নচেৎ এ মহামারির অবসান ঘটানো যাবে না। করোনা নির্মূল নিয়ে এ সতর্কতা উচ্চারণ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) ইউরোপীয় বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স ক্লুগ।
ইউরোপে টিকা দেয়ার গতি খুব ধীর হওয়ার প্রেক্ষাপটে শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে এ সতর্কতা উচ্চারণ করেন ক্লুগ। বলেন, ‘নূন্যতম ৭০ শতাংশ লোককে আমরা টিকা দিতে না পারলে মহামারি শেষ হবে না।’ ভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ক্লুগ আরো বলেন, বি.১৬১৭ (ভারতীয় ধরন) বি.১১৭ (ব্রিটিশ ধরন) এর চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক। আগের যে কোন ধরনের চেয়ে ভারতীয় ধরন খুব বেশি দ্রুত ছড়িয়েছে।
টিকা দেয়ার গতিকে আরো দ্রুত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে (ডব্লিওএইচও) ইউরোপীয় বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, সময় আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। আমাদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু – ‘গতি’।
এএফপি’র হিসাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলের ৫৩টি দেশের মোট জনসংখ্যা ২৬ শতাংশ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। এর মধ্যে এশিয়ার কিছু দেশও রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৩৬.৬ শতাংশ লোক অন্ততঃ টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশে শনিবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাত লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ৩৭ হাজার ৪০৮ জন, মারা গেছেন ১২ হাজার ৫৪৯ জন। শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৮। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়েছে ৯৯ লাখ ৬২ হাজার ২৭০ ডোজ। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪১ লাখ ৪২ হাজার ২৫৫ জন আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন।
এমকে