নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়তে তিন পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

৩১ মে ২০২১

নতুন প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়তে পিফোরজি সম্মেলনে অংশ নেয়া নেতাদের তিনটি পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার  পিফোরজি’র (পার্টনারিং ফর গ্রিন গ্রোথ অ্যান্ড দ্য গ্লোবাল গোলস ২০৩০)  সম্মেলনে এ পরামর্শ দেন।‘ইনক্লুসিভ গ্রিন রিকভারি টুওয়ার্ডস কার্বন নিউট্রালিটি’প্রতিপাদ্য নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পিফোরজি;র দুদিনব্যাপী এ সম্মেলন। আগে ধারণকৃত ভিডিও বার্তায় দেয়া বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিন পরামর্শের মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে-  খাদ্য, পানি, জ্বালানি, শহর এবং সার্কুলার অর্থনীতি মিলে পিফোরজি’র পাঁচটি মূল ক্ষেত্র  আরো বেশি ফিন্যান্সিয়ার, বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক এবং সৃজনশীল উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করতে এর কর্মভিত্তিক পদ্ধতির বিষয়ে আরো বেশি প্রচারণা চালানো এবং সেরা অনুশীলনগুলো বিনিময় করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরামর্শটি হচ্ছে— সবুজ প্রবৃদ্ধি এবং ২০৩০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমাজের সামগ্রিক পদ্ধতির পাশাপাশি একটি বৈশ্বিক মনোভাব প্রয়োজন। আর তৃতীয় পরামর্শটি হচ্ছে ঐক্যের, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুবজতর ভবিষ্যতের জন্য পিফোরজি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেয়া নেতাদের আরো নিবিড়ভাবে কাজ করার দরকার।

এ তিন পরামর্শের বাইরে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের স্থানীয়ভাবে অভিযোজন কার্যক্রম বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন,পানির যথাযথ ব্যবহার এবং সংরক্ষণে একশ’ বছর মেয়াদি টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা ‘ডেল্টা প্ল্যান’বাস্তবায়ন করছি। জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থায় প্রতি বছর ৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করছি।  ২০৪১ সালে আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ৪০ গিগা ওয়াটে দাঁড়াবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই ডেভেলপমেন্ট লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে  পিফোরজি  উদ্যোগটি শুরু হয়। এ নেটওয়ার্কে বাংলাদেশসহ ১২টি দেশ আছে। বাকি দেশ হচ্ছে- চিলি, কলম্বিয়া, ডেনমার্ক, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, রিপাবলিক অব কোরিয়া, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভিয়েতনাম।এর বাইরেডব্লিউআরআই, ডব্লিউএএফ, আইএফসি, জিজিজিআই এবং সি ৪০ সংগঠন এ নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর