সরকারের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার শেরেবাংলা নগরে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে যান ফখরুল ইসলাম।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তার নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। ১৯৭১ সালে পাক-হানাদার বাহিনীর কারা নির্যাতন ভোগ করেছেন। অথচ তাকে তার চিকিৎসার জন্য আজকে সুযোগ দেয়া হয় না। বারবার বলা হয়েছে, তার অ্যাডভান্স চিকিৎসা দরকার, সেটা একটা অ্যাডভান্স চিকিৎসা সেন্টারে করা প্রয়োজন।
বেগম জিয়ার বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, তার জ্বর নিয়ন্ত্রণ এসেছে।চিকিৎসকরা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন— এ জ্বর হয়তো আর আসবে না। তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নমুনা পরীক্ষায় গত ১১ এপ্রিল করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে খালেদা জিয়ার। প্রথমে বাসায় চিকিৎসা নিলেও পরবর্তীতে ২৭ এপ্রিল রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ২৮ এপ্রিল ব্যক্তিগত ও এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। ৫ মে খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার অনুমতি মেলেনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই ৬ মে পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসে তার।
এমকে