বগুড়া প্রতিনিধি
খানাখন্দের কারণে চলাচলরত মানুষের চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মথুরাপুর বাজার-মহিশুরা সড়ক।এ দুর্ভোগের সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বৃষ্টি। ভারী যানবহন চালাচল করায় ও সংস্কারের অভাবে সড়কটির এ দশা। প্রায় চার বছর ধরে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী অবস্থায় থাকলে দুর্ভোগ লাঘবে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি এলাকাবাসীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক দশক আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলার মথুরাপুর বাজার থেকে মহিশুরা মাজার পর্যন্ত পাকা এ সড়ক নির্মাণ করে। উপজেলার মথুরাপুর ও গোপালনগর ইউনিয়নবাসির যোগাযোগের এটিই একমাত্র সড়ক।
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের ইটের টুকরোগুলো উঁচু-নিচু হয়ে আছে স্থানে স্থানে। সড়কজুড়ে পিচ ওঠা গর্ত। অনেক জায়গায় খোয়া, বালু ও পিচের চিহ্নমাত্র নেই। বেরিয়ে পড়েছে মাটি।মাঝে-মধ্যেই উল্টে যায় গাড়ি। বিশেষত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মোটরসাইকেল চালকেরা। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন বিভিন্ন যানবাহন। সড়কের পাশের লোকজন ও ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এলাকাবাসী জানায়, ভাঙা এ সড়কে শুস্ক মৌসুমে গাড়ি গেলে যেন ধুলাবালুর ঝড় ওঠে। আর বৃষ্টি হলে পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। পাকা সড়ক কাদা সড়কে পরিণত হয়। পথচারীরা খালি পায়ে সড়কে চলাচল করতে পারে না।
স্থানীয় ধেরুয়াহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ চলাফেরা করেন। সড়কটির এমন অবস্থা- বোঝার উপায় নেই সড়কটি কখনো কার্পেটিং করা হয়েছিল। বর্তমানে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য। ফলে এ পথে চলতে ভয় হয়। তিনি দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান।
ধুনট উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ সড়ক সংস্কার কাজের টেন্ডার দেয়া হবে। আশা করছি, খুব দ্রুতই পাকা সড়কটি চলাচলের উপযোগী হবে।
দীপক সরকার/এমকে