দেশে চলতি বছরের শুরু থেকেই লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, বাড়ছে করোনা রোগীর মৃত্যুর সংখ্যাও। মারা যাওয়া করোনা রোগীর বেশিরভাগই করোনা প্রতিরোধী টিকার কোনও ডোজ নেয়নি। কেবল গত ১-৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মারা যাওয়া এমন রোগীর সংখ্যা শতাংশের হিসাবে প্রায় ৭৩। বাকিরা করোনা প্রতিরোধী টিকার কোনও না কোনও ডোজ নিয়েছিলেন। টিকা না নিয়ে মারা যাওয়া এমন রোগীর হিসাব দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভার্চুয়াল বুলেটিনে দেশের করোনার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেখানেই বিষয়টি জানানো হয়।
বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে কারা টিকা পেয়েছেন এবং কারা পাননি- সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে অনেক দিন হচ্ছে। ১ থেকে ৩১ জানুয়ারির পর্যন্ত মোট মারা যাওয়া করোনা রোগীর মধ্যে টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছিলেন ১৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছিলেন ৬১ জন।
বুলেটিনে বলা হয়, সংখ্যার বিচারে রোগী বেড়েছে, আগের তুলনায় রোগী বেড়েছে হাসপাতালগুলোতেও। রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। রোগীর সংখ্যা যখন বাড়ে, তখন সামগ্রিকভাবে আইসিইউ-এইচডিইউ এবং অক্সিজেন সরবরাহের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। রোগীর সংখ্যা যেন কোনোভাবেই না বাড়ে, সে জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দেওয়া হয় বুলেটিনে।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্টের বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয় বুলটিনে। বলা হয়, এ সাব-ভ্যারিয়েন্ট আরও বেশি সংক্রামক হতে পারে, বেশি সংক্রমক হলে ক্ষতি করার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এ সাব-ভ্যারিয়েন্টে ইতোমধ্যেই বিশ্বের ৫৭টি দেশে শনাক্ত হয়েছে।
এমকে