ধান ও চালের বাজার মনিটরিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অতিরিক্ত দাম ঠেকাতে ও অবৈধ মজুত রোধ-ই উদ্যোগ নেয়ার কারণ। ইতোমধ্যেই চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানিয়ে দিয়েছে খাদ্য অধিদফতর।
সোমবার চিঠিতে বলা হয়েছে, ধানের ভরা মৌসুম চলছে এখন। এ সময়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অধিক পরিমাণ ধান-চাল ক্রয় করছেন পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা। বিশেষ করে পাইকারি ও আড়তদারদের কেউ কেউ খাদ্যশস্য লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করছেন। লাইসেন্স না থাকায় অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বিপুল পরিমাণ ধান-চাল ক্রয় ও মজুতের সুযোগ পাচ্ছেন তারা। এতে খোলা বাজারে ধান-চালের কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে, একই সঙ্গে বাজার মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এতে চলমান বোরো সংগ্রহ কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হতে পারে।
বাজারে ধানের কৃত্রিম মূল্য বৃদ্ধি রোধে তিনটি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে এ চিঠিতে। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্যশস্য ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স না থাকেল বাধ্যতামূলক লাইসেন্স প্রদান নিশ্চিত করা, তাদের প্রতি ৭ দিনের ক্রয়-বিক্রয় প্রতিবেদন (চালান, রসিদ ইত্যাদিসহ) তৈরি ও সেই প্রতিবেদন কৃর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো। অনুমোদিত পরিমাণের বেশি খাদ্যশস্য অবৈধভাবে মজুত রোধে পরিবীক্ষণ জোরদার করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে চিঠিতে।
এমকে