সংসদে প্রধানমন্ত্রী

ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে

০৩ জুন ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তার সরকার। একই সঙ্গে দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তরে বিভিন্ন দেশ ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত আছে। জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উত্থাপিত হয়।

টিকা সংগ্রহ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ভারত থেকে টিকা সংগ্রহের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির কারণে ভারত টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে সরকার চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে চীনের সিনেফার্ম থেকে টিকা কেনার বিষয়টি মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিমাসে ৫০ লাখ করে তিন মাস টিকা পাওয়া যাবে; জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে এ টিকা আসবে। ইতোমধ্যেই চীন থেকে ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পাওয়া গেছে। গত ২৫ মে থেকে এ টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য ভ্যাকসিন সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। রাশিয়া থেকে টিকা আমদানির জন্যও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

টিকার বাইরে করোনা প্রতিরোধে তার সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরতে গিয়ে সরকার প্রধান বলেন, দেশব্যাপী ও অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন কার্যকরসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতাসহ জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে বিভিন্ন প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনসহ করোনা মোকাবিলায় সম্মুখ যোদ্ধাদের জন্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।যথাসময়ে টেস্টিং কিট আমদানি এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে ল্যাব স্থাপনসহ করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ফলে করায় করোনা বিস্তার রোধে দক্ষিণ এশিয়াসহ অনেক উন্নত দেশের চেয়ে বাংলাদেশ সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর