আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলেই মনে হচ্ছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (জাপা) ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপির কাছে। তাই এ বাজেট ব্যাপকভাবে সংশোধন বা রদবদল করতে হবে বলে মনে হয় তার। জাতীয় সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন জাপা চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার বিকালে বাজেট অধিবেশন থেকে বের হয়ে জাতীয় সংসদের টানেলে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি। এর আগে অর্থমন্ত্রী নিজেই ৬ লাখ কোটি টাকার বেশি প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উত্থাপন করেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ধারণার বশবর্তী হয়ে অর্থমন্ত্রী এ বাজেট তৈরি করেছেন। আন্দাজে করা এ বাজেটে বিশাল ঘাটতি রয়েছে। এটা পূরণ করতে যে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবসম্মত নয়। জিডিপির ৬ দশমিক ২ ভাগ ঘাটতির বাজেট এর আগে আর হয়নি। ঘাটতির এ বাজেটে দেয়া বরাদ্দ বিশ্লেষণে দেখা গেছে অনেক কিছুই ফাঁক আছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে নামমাত্র বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, সামাজিক বেষ্টনী ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতেও অনেক কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। করোনাকালে কর্মহীন এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়া মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা আর্থিক সহায়তার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। ঘাটতি পূরণে বিদেশি ঋণ, স্বল্প সুদে ঋণ এবং বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ প্রাপ্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। আগামী দিনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এটা আদৌ অর্জন করা সম্ভব হবে কি-না বলা যাচ্ছে না।
জিএম কাদের বলেন, ‘এ বাজেট এতটাই পরিবর্তন করতে হবে যে তাতে প্রণীত বাজেটের প্রকৃত রূপ থাকবে না। বাজেটে খরচ বাড়িয়েছেন, বাড়ানোর দরকারও আছে। তবে অর্থ আহরণের বিষয়ে তারা হোঁচট খেয়েছেন।’
ব্রিফিংকালে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব (ঢাকা বিভাগ) লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি, পনির উদ্দিন আহমেদ এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান পীর ফজলুর রহমান মিজবাহ এমপি।
এমকে