ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে বাড়ছে উদ্বেগ

০৫ জুন ২০২১

দেশে করোনা সংক্রমণের ৮০ শতাংশই  ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট, পাশাপাশি আরেকটি অজানা ভ্যারিয়েন্টও শনাক্ত হয়েছে। গবেষণার ফলাফল এ কথা বলার পরপরই এনিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। গত ৮ মে প্রথম ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয় দেশে। আর ৮০ শতাংশের  বিষয়টি শুক্রবার জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।

এদিকে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধে দেশের সীমান্ত জেলায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। ভারতীয়সহ অন্যান্য ভেরিয়েন্টের বিস্তার রোধে সঠিকভাবে মাস্ক পরার পাশাপাশি অন্যান্য করোনার স্বাস্থ্যবিধি (বিনা প্রয়োজনে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকা, জনসমাগম এলাকা এড়িয়ে চলা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া) মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে আইইডিসিআর।

সংক্রমণের ৮০ শতাংশই  ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার তথ্যটি পাওয়া গেছে করোনার  নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সংয়ে। এ কাজটি করেছে আইইডিসিআর এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিএসএইচআই)।  করোনাভাইরাসের ৫০ টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করেছে তারা। উচ্চ সংক্রমিত এলাকাগুলোতে আক্রান্ত রোগীর কেস ইনভেস্টিগেশন, কন্টাক্ট ট্রেসিং এবং সন্দেহজনক রোগীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে।

আইইডিসিআর বলছে, দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (সামাজিক সংক্রমণ) হয়েছে।  জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলাফলে দেখা গেছে, ৫০টি নমুনার মধ্যে ৪০টি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট  (বি.১.৬১৭.২)। বাকি ১০ নমুনার মধ্য সাউথ আফ্রিকান (বিটা) ভ্যারিয়েন্ট আটটি, একটি সার্কুলেটিং ও আরেকটি আন-আডিন্টিফাইড (বি.১.১.৩১৮) ভ্যারিয়েন্ট।

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, ১৪ জন রোগীর দেশের বাইরে ভ্রমণের অথবা বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কোনো ইতিহাস নেই। আটজনের ভারতে ভ্রমণ এবং বাকি ১৮ জনের বিদেশফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার ইতিহাস রয়েছে। এদের তিনজনের বয়স ১০ বছরের নিচে, সাতজনের বয়স ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে, দশজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, আটজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, আটজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং বাকি চারজনের বয়স ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের নমুনার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোপালগঞ্জ,খুলনা, ঢাকা নমুনা ছিল।এ ছাড়া বিভিন্ন জেলার আরও তিন অধিবাসী চুয়াডাঙ্গা ও খুলনায় চিকিৎসাধীন আছেন।

অন্যদিকে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে মঙ্গলবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি জানিয়েছে, টিকার সুরক্ষাকবচকে ভাঙার ক্ষমতা রাখা এ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা অত্যধিক, জনস্বাস্থ্যকে বড় রকমের ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর