করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা খাত

উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজতে হবে

০৬ জুন ২০২১

দেশে করোনা হানা দেয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাত হচ্ছে শিক্ষা।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন টানা বন্ধ থাকার ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া। অবশ্য খোলা হবে খোলা হবে করেও এখন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারেনি সরকার। উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে পিছিয়ে পড়া এ খাতকে এগিয়ে নিতে উদ্ভাবনী সমাধান বের করার তাগিদ দেয়া হচ্ছে। এ তাগিদ দিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীও।

বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে ব্যাহত শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিতে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজতে হবে। শিক্ষা খাতকে বাঁচাতে বিকল্প ও সৃজনশীল পন্থা খুঁজে বের করে সংসদ সদস্যদের কাজ করার এখনই সময়।  ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা কার্যক্রম সচল ও স্বাভাবিক করতে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

হাই লেভেল রাউন্ড টেবল ফর পার্লামেন্টারিয়ান্স অন এডুকেশন ফিন্যান্সিং শীর্ষক ভার্চুয়াল গ্লোবাল এডুকেশন সামিট আয়োজনে এসব কথা বলেন  স্পিকার। সিপিএ এবং ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারি নেটওয়ার্ক ফর এডুকেশন যৌথভাবে এর আয়োজন করে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অনলাইন প্রক্রিয়ায়  শহর ও গ্রামে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে ইন্টারনেট ব্যবস্থা ও আনুষঙ্গিক ব্যয় একটি চ্যালেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে বাজেটে অতিরিক্ত আর্থিক বরাদ্দের প্রয়োজন হবে। করোনা বিপর্যস্ত শিক্ষা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে ‘গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন’এর পদক্ষেপ অনুসরণ করলে শিক্ষা খাতকে বাঁচাতে সহজেই ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিরূপণ করতে পারবেন সংসদ সদস্যরা । বিশেষত মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাল্যবিয়ে ও শিশু শ্রম থেকে বিরত রাখা এবং প্রান্তিক, অনগ্রসর ও গরীব শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত রাখার উপায় খুঁজে বের করা সংসদ সদস্যদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চে দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়। করোনার বিস্তার রোধে একই মাসে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কয়েক ধাপে এ ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে চলতি জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর