দেশে চলমান দুর্নীতি বন্ধ করা না গেলে প্রস্তাবিত বাজেটের লক্ষ্য অর্জিত হবে না। দুর্নীতির পাশাপাশি কর প্রশাসনের দক্ষতা, স্বচ্ছতা, সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা না বাড়ালো গেলেও অর্জিত হবে না বাজেটের লক্ষ্য।তাই এগুলোর বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। দুর্নীতি ও কর প্রশাসনের দক্ষতার ঘাটতির বিষয়টি ফুটে ওঠেছে বাজেট অধিবেশনে দেয়া সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আশরাফের বক্তব্যে। রোববার সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় বক্তব্য দেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার আগামী অর্থবছরের জন্য ৬ লাখের বেশি কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ।
বাজেট বাস্তবায়নে সদিচ্ছা থাকার তাগিদ দিয়ে সংসদ সদস্য আলী আশরাফ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। কিন্তু বড় বড় চোরদের দুর্নীতি, অর্থপাচারের মতো কার্যক্রমে ঘৃণায়, লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। এগুলোর বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
কর প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়ে এ সংসদ সদস্য বলেন, ট্যাক্সের নেট আরো বাড়াতে হবে, দক্ষতা বাড়াতে হবে। কর প্রশাসনের সামর্থ্য আছে। আলোচনায় স্বাস্থ্য খাতের নানা দুর্নীতি নিয়ে বক্তব্য দেন বিএনপি'র সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমিন ফারহানা। বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ খরচে অদক্ষতা দেখিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকারি দলের আরেক সদস্য মহিউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, করোনারে কারণে আয় কমে যাওয়ায় মূল বাজেটের চেয়ে সম্পূরক বাজেট কমে গেছে। মূল্যস্ফিতি ঠেকাতে মূদ্রা সরবরাহ বাড়ানো, সামাজিক নিরাপত্তা খাত আরো সম্প্রসারিত করা ও কৃষি উৎপাদন বাড়াতে আরো পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
অন্যদিকে একই আলোচনায় প্রস্তাবিত বাজেটকে ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ঋণ নির্ভর বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। বলেছেন, অর্থমন্ত্রীর বাজেটের শিরোনাম শুনতে ভালো লাগলেও বাইরে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ভালো নয়। চলতি বছরের বাজেট অবাস্তব। করোনাকালে প্রয়োজনীয় বাজেট দিতে পারেনি সরকার।
এমকে