স্বাস্থ্য বিভাগকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ

০৮ জুন ২০২১

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকাণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিন হলোই আলোচনা-সমালোচনা চলছে দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে। এবার সমালোচনা হয়েছে জাতীয় সংসদে। সেখানে স্বাস্থ্য বিভাগকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কর্তৃত্ব না থাকার কথাও ওঠে এসেছে। বিএনপি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা সমালোচনাসহ এ পরামর্শ দিয়েছেন। সোমবার ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের মঞ্জুরি দাবির ওপর আনা ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় সমালোচনা করেন তারা। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, তারা ভালো করছেন, দেশে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে খুবই সফলতা দেখিয়েছেন।

বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, কেনাকাটায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুর্নীতির ডিপো। স্বাস্থ্য বিভাগকে সংস্কারের আওতায় আনতে হবে। বেহাল দশা থেকে রক্ষা করতে কমিটি গঠন করতে হবে। ঢাকায় এক পদে ৫০ জন চিকিৎসক থাকলেও জেলা-উপজেলায় চিকিৎসক নেই উল্লেখ করে হারুনুর রশীদ বলেন, লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছে, লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে পারলে এটা রোধ করা যাবে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বলেন, এ মন্ত্রণালয়ে আফজাল-মালেকরা অনিয়ম করছে রূপকথার গল্পের মতো। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এখন কিছুটা কমলেও তাদের থামানো যাচ্ছে না। এখানে অনেক মালেক, আফজালের ছড়াছড়ি। একজন মহিলা উপ-সচিবের কানাডাসহ তিনটা দেশে বাড়ি আছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আপনার তো কর্তৃত্ব নেই, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যা হচ্ছে। তিনি জানান, হাসপাতালে অক্সিজেন নেই। সেটা না এনে আনা হচ্ছে এমআরআই, সিটি স্ক্যান মেশিন, পাঠানো হচ্ছে  উপজেলায়। কিন্তু এসব মেশিন আনতে লক্ষ কোটি টাকা খরচ হলেও চালাতে না পারায়  জনগণ সেবা পাচ্ছেন না।

নতুন বরাদ্দ চাওয়ার কথা উল্লেখ করে বিএনপির আরেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ১০ মাসে স্বাস্থ্য খাতে এডিপির মাত্র ২৫ শতাংশ ব্যয় হয়েছে।  কেন ৭৫ শতাংশ অব্যবহৃত রয়ে গেছে, তার জবাব স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে। করোনাকালে আইসিইউ স্থাপন প্রসঙ্গে এ সংসদ সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার জেলায় জেলায় আইসিইউ স্থাপন করতে বললেও দেড় বছরে ৫টি জেলায় নতুন আইসিইউ স্থাপন করা হয়েছে। এখনো ৪৫টি জেলায় আইসিইউ নেই।

সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে করোনা মোকাবিলায় তার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন  স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বলেন, ওষুধের কোনও ঘাটতি হয়নি, অক্সিজেনের অভাব কখনোই হয়নি। আমেরিকায় যে চিকিৎসা এখানেও একই চিকিৎসা হয়েছে। ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান আছে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর