সাকিবের শাস্তি প্রত্যাহার চায় মোহামেডান

১৩ জুন ২০২১

একই ম্যাচে দুইবার লেভেল-৩ পর্যায়ের আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। সেই সাথে জরিমানা করা হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা। তবে তার শাস্তি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানিয়েছে মোহামেডান। রোববার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বরাবর চিঠিও পাঠিয়েছে ক্লাবটি।

ক্লাবটির ক্রিকেট কিমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান জানান, ‘সাকিবের শাস্তি কমানোর ব্যাপারে আমরা সিসিডিএম বরাবর মেইল পাঠিয়েছি। মোহামেডানের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে সাকিবের শাস্তি যেন কমানো হয়।’

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাকিবের শাস্তির অর্থদণ্ড বহাল রেখে তিন ম্যাচ খেলা থেকে বিরত থাকার বিষয়টি যেন প্রত্যাহার করা হয়।

শুক্রবার মোহামেডান-আবাহনির পঞ্চম ওভারের খেলা চলছিল। সাকিবের করা বল ঠিকমতো ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হন মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের প্যাডে লেগে যায় বল। সঙ্গে সঙ্গে এলবির আবেদন করেন সাকিবরা যা, খালি চোখে দেখে আউটই মনে হয়েছিল। কিন্তু সাকিবদের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। সাড়া না পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে স্টাম্পে লাথি মেরে বসেন সাকিব।

এখানেই শেষ নয় আম্পায়ার ইমরান পারভেজের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সাকিব। সতীর্থরা তাকে শান্ত করে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় আবাহনীর সংগ্রহ ছিল তিন উইকেটে ২১ রান। বৃষ্টির সম্ভাবনা শুরু হয়। তাই বৃষ্টি আইনে এগিয়ে থাকতে পরের ওভারে শুভাগত হোমের বলে শান্ত চড়াও হন। বৃষ্টি না নামতেই খেলা বন্ধ ঘোষণা করে আম্পায়ার। 

সেই সময় মিডঅফে ছিলেন সাকিব আল হাসান। মুহূর্তের মধ্যে দৌঁড়ে এসে তিনটি স্টাম্প উপড়ে ফেলেন। আম্পায়ারের সঙ্গে ফের তর্কে জড়ান তিনি। আবাহনীর ড্রেসিং রুমের দিকেও গিয়েও কিছু বলতে দেখা যায়। এই ঘটনা দেখে আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদও তেড়ে যান সাকিবের দিকে। তাকে গিয়ে শান্ত করেন মোহামেডানের ক্রিকেটার শামসুর রহমান শুভ। সতীর্থরা এসে শান্ত করেন সাকিবকে।

পরে অবশ্য নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চান সাকিব। তবে তাতে রক্ষা হয়নি। একই ম্যাচে ২বার লেভেল-৩ পর্যায়ের আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে তাকে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। করা হয় পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানাও। 


মন্তব্য
জেলার খবর