মাহমুদ শরীফ, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
কুষ্টিয়ায় বাবা ও মাসহ ৫ বছরের এক শিশুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের এক এএসআইকে পিস্তলসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীসহ এলাকাবাসী। রোববার বেলা ১১টার দিকে শহরের কাস্টম মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরকীয়ার কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার তিনজন হচ্ছে, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সাওতাকারিগর পাড়ার মিজবারের ছেলে শাকিল (২৮), তার স্ত্রী আসমা (২৫) ও ছেলে রবিন (৫)। শাকিল পেশায় একজন বিকাশকর্মী ছিলেন। কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার (এসপি) খায়রুল আলম ও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আটক এএসআইয়ের নাম সৌমেন রায়, তিনি কুষ্টিয়ার হালসা ক্যাম্পে কর্মরত।তাকে সম্প্রতি হালসা ক্যাম্প থেকে খুলনার ফুলতলায় বদলি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্তানসহ এ দম্পতি ঘটনা এলাকায় একটি গাছের নীচে দাঁড়িয়ে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন।হঠাৎ তারা দু’দিকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ছোট বাচ্চাকে নিয়ে পুরুষ লোকটি দৌড়ে মসজিদে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে বাচ্চাটিকে বের করে এনে পিস্তল দিয়ে চারটি গুলি করা হয়। এরপর কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা বাবাকে গুলি করা হয়। এসময় বাচ্চাটির মা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তখন তাকেও গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। স্থানীয়রা বাবা ও ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন তারা মারা যান।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত এএসআইকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। মরদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার বলেন, আসমাকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমকে