বাইরে নয়, মানতেও হবে স্বাস্থ্যবিধি

১৪ জুন ২০২১

নির্ধারিত স্থানের বাইরে ও রাস্তার ওপরে  কোরবানির পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না, জবাই করতে দেয়া হবে না কোরবানির পশুও। আর করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসাতে হবে এ হাট। আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুরহাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইকরণ এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে ভার্চুয়াল এ সভায় তাজুল ইসলামই সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রী তাজুল বলেন, নিজ নিজ এলাকায় সবার জন্য সুবিধা মতো এ স্থান নির্ধারণ করে দিবে শহর-নগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ। যথাযথ কর্তৃপক্ষ যে স্থান নির্ধারণ করবে, শুধু সেখানেই এগুলো করতে হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, গত বছরের মতো এবারো   করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পশুর হাট বসানোর জন্য  জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা করা হবে। সিটি করপোরেশন ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাবে।

সড়ক-মহাসড়ক এবং রেল লাইনের ওপরে কোরবানির পশুর হাট বসানো প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কর্তৃপক্ষ  ইজারা না দিলেও অবৈধভাবে এসব জায়গায় পশুর হাট বসানো হয়। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরাসহ সবার সমন্বিত উদ্যোগ রাস্তার ওপরে পশুর হাট বসানো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যেখানে, সেখানে হাট বসতে দেয়া যাবে না।

কোরবানি করা পশুর বর্জ্য অপসারণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী তাজুল বলেন, কোরবানি দেয়ার পর পরই দ্রুত বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নিতে হবে। স্থানীয় সব জনপ্রতিনিধি স্ব স্ব উদ্যোগে দ্রুত সময়ে বর্জ্য অপসারণ করবেন।

সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সব সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য, তথ্য ও সম্প্রচারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব এবং বিভিন্ন অধিদফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর