জয়পুরহাট সংবাদদাতা
জয়পুরহাটে মোটা টাকা দিয়েও চাকরি না পাওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির দুই নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী তিন নারী। সোমবার বেলা ১২ টায় জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক নেতা হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সহকারী শিক্ষক ওয়াদুদ ফাররোখ এবং পাঁচবিবি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী শিক্ষক আমানউল্লাহ। ভুক্তভোগীরা হলেন- আক্কেলপুর উপজেলার কাশিড়া লক্ষ্মীভাটা গ্রামের মাহবুব আলমের স্ত্রী আলেয়া বেগম, এরশাদুল হকের স্ত্রী শারমিন আক্তার ও জয়পুরহাট সদরের জয়পার্বতীপুর দক্ষিণ কান্দি গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের মেয়ে নুরুননাহার। সংবাদ সম্মেলনে শারমিন আক্তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ওয়াদুদ ফাররোখ ও আমানউল্লাহ ২০১৭ সালে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরীর প্রলোভন দিয়ে তাদের প্রত্যেকের কাছে ৬ লাখ টাকা চায়। অগ্রিম বাবদ ব্যাংকের চেক দিয়ে সাড়ে ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। এর মধ্যে ওয়াদুদ ফাররোখ শারমিনের কাছে থেকে দেড় লাখ ও নুরুননাহারের কাছে থেকে আড়াই লাখ টাকা নিয়েছেন। আলেয়া বেগমের কাছে দেড় লাখ টাকা নিয়েছেন আমানউল্লাহ। এরপর তারা আক্কেলপুর মুজিবুর রহমান কলেজের পেছনে একটি শিশু কল্যাণ স্কুলও চালু করেন। দেড় বছর স্কুল চলাকালীন প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা ভাড়া দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু ভুক্তভোগীদেরকে চাকরি দিব-দিচ্ছি বলে তালবাহানা করেন এবং তাদের অর্থ না দিয়ে নানা রকম হুকমি দেন। এ ঘটনার প্রতিকারের আশায় এ বিষয়ে গত ৩১ মে জয়পুরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ করেন তারা। কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগীরা নিরুপায় হয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
এ ব্যাপারে ওয়াদুদ ফাররোখ মুঠোফোনে বলেন, আমি প্রতিষ্ঠান করার জন্য টাকা নিয়েছিলাম, চাকরি দেয়ার জন্য নয়। তারা যা অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। আমানউল্লাহ বলেন, শুধু আমি না এখানে ওয়াদুদ মাস্টারও আছে। তাদের কাছ থেকে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় করার জন্য টাকা নেয়া হয়েছে। জয়পুরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এসএম তৌফিকুজ্জামান বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাহফুজ রহমান/এমকে