দেশে খুচরা বাজারে বেসরকারি পর্ায়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলপিজি) ও অটোগ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ মূল্যবৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের চাপে করা হয়েছে, আর এটা অযৌক্তিক- এমনটাই মন করছে বাংলাদেশ ন্যাপে। দলটি বলছে, এভাবে দফায় দফায় একে একে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি জনগণের জন্য অনেক ভোগান্তির সৃষ্টি করবে। এলপিজি'র মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তের মানুষ চরম বিপাকে পড়বে।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক যৌথ বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। তারা বলছেন, প্রতিনিয়ত এলপিজি ও অটোগ্যাসের এ মূল্যবৃদ্ধি জনগণের সঙ্গে চরম তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই এ মূল্যবৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এলপিজি ও অটো গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কথা জানায়। এলপিজির ক্ষেত্রে কেজিপ্রতি ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে। মোটরগাড়ির জন্য অটোগ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে লিটারে তিন টাকার মতো। তবে উৎপাদন ব্যয়ের পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। মূসকসহ বেসরকারি পর্যায়ে ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিইআরসি জানায়, এলপিজির দাম কেজিপ্রতি ৯৪ দশমিক ৯৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৩ টাকা ৩১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটারে ৫৪ দশমিক ৯৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৭ দশমিক ৮১ টাকা করা হয়েছে।
এমকে